এই বৃষ্টিতে তেলেভাজা খেতেই হবে, কিন্তু যতটা সম্ভব কম তেলে। ছবি: সংগৃহীত।
সকাল থেকে ঝিরঝিরে বৃষ্টি। কাজে বেরোনোর তাড়া থাকলেও সকালে একপ্রস্ত খিচুড়ি চাই। বাজারে তো ইলিশের দেখা নেই। তবে বেসন দেওয়া বেগুনি কিংবা আলুভাজা থাকতেই হবে। আবার বৃষ্টি পড়লেই অফিসে মুড়ি-তেলেভাজা খাওয়া তো রীতিমতো নিয়মের পর্যায়ে পড়ে গিয়েছে। কিন্তু সারা দিনে তেলে ভাজা খাবার বেশি খেলে অতিরিক্ত পরিমাণে স্নেহ পদার্থ শরীরে প্রবেশ করে। দোকানে যে ধরনের তেল ব্যবহার করা হয়, তা যে খুব স্বাস্থ্যকর নয়। কিন্তু বাড়িতে ভাজাভুজি রান্না করলে কিছু সতর্কতা অবশ্যই মেনে চলা যায়।
১) পরিষ্কার পাত্র ব্যবহার করুন
বাড়িতে যদি কিছু ভেজে খেতে হয়, তা হলে প্রতি বার নতুন কড়াই ব্যবহার করুন। ব্যবহার করা কড়াইতে রান্না করলে খাবারের তেল শোষণ করার ক্ষমতা বেড়ে যায়। তা ছাড়া, খাবারের স্বাদও পাল্টে যেতে পারে।
২) বেসনের পাতলা আস্তরণ
বেগুনি, আলুর চপ বা বেসনের মিশ্রণে ডুবিয়ে সে সব ভাজা খাবার রান্না করা হয়, তার মধ্যে তেল ধরে রাখার পরিমাণ বেশি। তাই এ ধরনের রান্না করার সময়ে বেসনের আস্তরণ যতটা সম্ভব পাতলা রাখার চেষ্টা করুন।
৩) আধসেদ্ধ করে নিন
বেগুন ছাড়া অন্য যে কোনও সব্জি, মাংস যদি আধসেদ্ধ করে তার পর ভাজা যায়, তা হলে তেলও কম লাগে। অল্প সময়েও ভাজা হয়ে যায়।
৪) পেপার টাওয়েল
ছাঁকা তেলে ভাজা খাবার থেকে অতিরিক্ত তেল শুষে নেওয়ার জন্য অনেকেই এখন পেপার টাওয়েল ব্যবহার করেন। বাড়িতে তা না থাকলে বেশ কয়েকটি টিস্যু পেপার একসঙ্গে রেখেও কাজ চালিয়ে নিতে পারেন।
৫) অল্প তেল
একবারে অনেকটা তেল কড়াইতে দিয়ে ভাজতে যাবেন না। যেটুকু প্রয়োজন ততটুকু তেল নিয়ে রান্না শুরু করুন। পরে দরকার পড়লে আবার তেল নিতে পারেন।
৬) পুরনো তেল ব্যবহার না করা
আগে ব্যবহার করা তেল বা পোড়া তেল দ্বিতীয় বার ব্যবহার করা যাবে না। পোড়া তেলে ভাজা খাবার খেলে অম্বল, গলা-বুক জ্বালার পরিমাণ বেড়ে যাবে।
৭) গরম তেল
তেল ভাল ভাবে গরম হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ঠান্ডা তেলে কোনও খাবার ভাজলে তার মধ্যে তেল জমে থাকার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy