শুষ্ক চুলে প্রাণ ফেরানো থেকে শুরু করে চুল পড়া রোধ, সবেতেই তেলের জুড়ি মেলা ভার। ছবি: সংগৃহীত
চুলের পাক ধরা ঠেকাতে কে না চান! কিন্তু চাওয়ার সঙ্গে কাজ আর মেলে কই? চুলের যত্ন নিতে বসলে প্রথমেই যে জিনিসটা আমরা ইদানীং বাদ দিই, আদতে তাতেই লুকিয়ে আছে সমাধান। কর্মব্যস্ত জীবনে নিয়মিত চুলে তেল দেওয়ার অভ্যাস কারও নেই। আর সেই কারণেই চুল নিয়ে নানা সমস্যায় ভুগতে হয় আমাদের।
শুষ্ক চুলে প্রাণ ফেরানো থেকে শুরু করে চুল পড়া রোধ, সবেতেই তেলের জুড়ি মেলা ভার। চুলের প্রকৃতি তৈলাক্ত হলেও তার যত্নের জন্যও রয়েছে তেলের দাওয়াই। চুলে তেল লাগানো নিয়ে অনেক ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। যার ফলে চুলের নানা প্রকার সমস্যা আরও বেড়ে যায়।
১) অনেকেই মনে করেন সারা রাত চুলে তেল লাগিয়ে রাখলেই চুলের স্বাস্থ্য ভাল হয়। এই ধারণা ভুল। বেশি ক্ষণ চুলে তেল লাগিয়ে রাখলে মাথার ত্বকে ধুলোময়লা জমা হয়। ফলে মাথার ত্বকের রন্ধ্রগুলি বন্ধ হয়ে যায়। তেলের পুষ্টিগুণ চুল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না। এমনকি মাথার ত্বকে সংক্রমণের সম্ভাবনাও থাকে।
২) চুলের পরিচর্যার জন্য অনেকেই ‘কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট’ করান। এই ধরনের ধরনের ট্রিটমেন্ট করানোর পর অনেকেই মনে করেন, চুলে গরম তেলের মালিশ করলে বুঝি চুলের স্বাস্থ্য আরও ভাল হবে। এই ধারণা ভুল। ট্রিটমেন্ট করানোর এক সপ্তাহ পর্যন্ত চুলে তেল না দেওয়াই ভাল। এক সপ্তাহ পর নিয়মিত তেল মালিশ করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে ঘরের তাপমাত্রায় নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন।
৩) স্নানের পর অনেকেই ভিজে চুলে তেল মালিশ করেন। এই অভ্যাস কিন্তু মোটেই ভাল নয়। এর কারণে চুল পড়ার সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। চুল একেবারে শুকিয়ে গেলে তবেই তেল লাগান।
৪) অতিরিক্ত তেল মাখলেই যে চুলের স্বাস্থ্য ভাল হবে এমন কোনও মানে নেই। বেশি তেল লাগালে সেই তেল ওঠাতে বেশি পরিমাণে শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করলে আবার মাথার ত্বক থেকে প্রাকৃতিক তেলের ক্ষরণ কমে যায়। ফলে চুল শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। তাই পরিমিত মাত্রায় তেল ব্যবহার করাই শ্রেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy