বর্ষার মরসুম শুরু হয়ে গেলেও গরমের চোখরাঙানি কিছুতেই কমছে না। গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ব্রণ, ফুসকুড়ির মতো ত্বকের নানা সমস্যা। যাঁদের তৈলাক্ত ত্বক, তাঁরা বছরের এই সময় ব্রণর উপদ্রবে নাজেহাল হন। শুধু গরম, ধুলো বা দূষণের কারণেই নয়, অনেক সময় হরমোনের ওঠানামা, মানসিক চাপ, ঘুমের অভাব, খাওয়াদাওয়ায় অনিয়মের কারণেও ব্রণর প্রকোপ বাড়ে৷ ব্রণ চলে গেলেও ত্বকে রয়ে যায় ব্রণর কালচে ছোপ। যেগুলি দেখতে মোটেই ভাল লাগে না! সামনেই প্রিয়বন্ধুর বিয়ে, কী ভাবে ব্রণর কালো দাগ লুকোবেন ভাবছেন? রূপটানের সৌজন্যেই হতে পারে সমস্যার সমাধান। তবে মনে রাখবেন, এ সমাধান কিন্তু সাময়িক৷

১) ব্রণর সমস্যা থাকলে মেকআপের আগে ত্বক অবশ্যই পরিষ্কার করে নিতে হবে। ত্বক পরিষ্কার করে নিয়ে টোনার আর ময়েশ্চারাইজ়ার লাগিয়ে নিন।

২) প্রাইমার লাগান। মেকআপের আগে এটি লাগালে মেকআপ দীর্ঘক্ষণ টিকে থাকবে। পুরো মুখে প্রাইমার লাগাতে ইচ্ছে না করলে ব্রাশে করে শুধু ব্রণ বা দাগছোপের অংশেও লাগাতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ‘ম্যাটিফাইং প্রাইমার’ ব্যবহার করতে ভুলবেন না।

৩) ব্রণ, ব্রণর দাগ, অন্যান্য দাগছোপের উপর ত্বকের রঙের সঙ্গে মানানসই কনসিলার লাগান। ব্রাশ দিয়ে ভাল করে ত্বকের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। ব্রণর দাগ আবছা হয়ে আসবে।

৪) এ বার ফাউন্ডেশন লাগানোর পালা। আপনার ত্বকের সঙ্গে মানানসই ফাউন্ডেশন লাগান৷ অল্প করে ফাউন্ডেশন নিয়ে স্পঞ্জ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন৷ খুব বেশি ফাউন্ডেশন লাগানোর প্রয়োজন নেই। তবে অবশ্যই এমন ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন, যাতে তেলের পরিমাণ কম।

৫) সব শেষে কমপ্যাক্ট পাউডার সারা মুখে লাগিয়ে নিন৷ এতে মুখ বেশি চকচকে দেখাবে না, ব্রণও আড়াল করা যাবে।

মেকআপ তোলার ক্ষেত্রে বিশেষ যত্ন নিন

মেকআপ করতে ভাল লাগলেও তোলার সময় আলস্য আসে। বাড়ি ফিরে অবশ্যই মেকআপ তুলতে হবে, নইলে ব্রণর সমস্যা আরও বাড়তে পারে। মেকআপ তোলার জন্য ‘ডবল ক্লিনজিং’ পদ্ধতি ব্যবহার করুন। কারণ এক বার ফেসওয়াশ করলে কিংবা শুধু মেকআপ রিমুভার ব্যবহার করলে মুখ পরিষ্কার হয় না। প্রথমে মেকআপ রিমুভার ব্যবহার করে মেকআপ সরিয়ে ফেলুন। এর পর ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। সব শেষে অ্যালো ভেরা জেল লাগিয়ে নিন।