বয়স যতই বাড়ুক, রূপটানের কৌশল জানা থাকলে নজর কাড়বেন আপনিই। ছবি: ফ্রিপিক।
বয়স বাড়বেই। আর বয়সের চাকা যত গড়াবে ততই চামড়ার টানটান ভাব উধাও হবে। মুখ, গলার ত্বকে স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠবে বলিরেখা। তবে নিয়মিত যদি ত্বকের যত্ন করা যায়, তা হলে পঞ্চাশ পেরিয়েও লাবণ্যে ভরে থাকবে মুখ। তার জন্য কেবল, মুখ পরিষ্কার আর ময়শ্চারাইজ়ার মাখলেই হবে না, প্রসাধনীর খুঁটিনাটি ও রূপটানের কৌশলও জানতে হবে। তার জন্য রইল কিছু টিপ্স।
১) ত্বক তরতাজা দেখাতে পাউডার নয়, ক্রিম বা লিকুইড মেকআপ ব্যবহার করুন। এমন প্রসাধনী দিয়ে বেস তৈরি করলে, তা সহজে নষ্টও হয় না! গালে ক্রিম ব্লাশারের আলতো ছোঁয়া দিন। স্বাভাবিক দীপ্তি পাবেন।
২) চোখের নীচের কোমল অংশের ত্বক খুব তাড়াতাড়ি কুঁচকে যায়। ওই অংশের বলিরেখা ঢাকতে, ব্যবহার করতে পারেন কনসিলার। ভাল করে ময়শ্চারাইজ়ার মেখে চোখের নীচে প্রাইমার লাগিয়ে নিন। তার পর কনসিলার লাগিয়ে ভাল করে মিশিয়ে দিন। যদি ব্রণ, ফুসকুড়ি, দাগছোপ থাকে, তা হলে তা ঢেকে দেবে কনসিলার।
ত্বক তৈলাক্ত হলে ম্যাট ফিনিশ কনসিলার খুব জরুরি। ভারতীয়দের ত্বকের ধরন অনুযায়ী অরেঞ্জ টোনড কনসিলার খুব ভাল মানায়। কনসিলার খুব ভাল করে ত্বকের রঙের সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে। না হলে মুখে ফুটে উঠবে। মনে রাখবেন, কনসিলারের সঙ্গে সঠিক ময়েশ্চারাইজ়ার লাগানোও জরুরি।
৩) সঠিক ময়শ্চারাইজ়ারও বেছে নিতে হবে। আপনার ত্বক তৈলাক্ত না কি শুষ্ক তা আগে বুঝে নিন। যদি দেখেন ত্বক তেলতেলে নয়, তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়, তা হলে বুঝে নিন ত্বক স্পর্শকাতর কি না। অল্পেই ফুসকুরি, র্যাশ বা চুলকানি হচ্ছে কি না। তা হলে সেই বুঝে ময়েশ্চারাইজ়ার বাছতে হবে। যদি দেখেন ভারী ময়েশ্চারাইজ়ার মাখার পর মুখ ঘামতে শুরু করেছে, তা হলে ‘ওয়াটার-বেসড’ ময়েশ্চারাইজ়ারই মাখতে হবে। শুষ্ক ত্বকের জন্য এমন ময়েশ্চারাইজ়ারই বাছতে হবে, যা ভিতর থেকে ত্বককে আর্দ্রতা জোগাতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy