ত্বকের জেল্লা বৃদ্ধি করতে অনেকেই কিশমিশ ভেজানো জল খান। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে, কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে এই পানীয়। কিশমিশ তো আঙুর শুকিয়েই তৈরি হয়। তা হলে সরাসরি আঙুর মুখে মাখলেই বা সমস্যা কোথায়? ত্বকচর্চা শিল্পীরা বলছেন, আঙুরের চেয়ে ভাল প্রাকৃতিক ‘অ্যান্টি-এজিং’ আর কিছু হয় না।
ফলটির মধ্যে রয়েছে ‘রেসভেরাট্রল’ নামক একটি উপাদান, যা ত্বকের বার্ধক্যজনিত সমস্যা, যেমন বলিরেখা, কালচে দাগছোপ দূর করতে সাহায্য করে। বয়স হলে চামড়া কুঁচকে যায়। ত্বকে কোলাজেনের অভাব হলে এই ধরনের সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক। আঙুর কিন্তু কোলাজেন তৈরিতেও বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। ক্ষতিকর অতিবেগনি রশ্মির হাত থেকেও ত্বককে রক্ষা করে আঙুর।
আরও পড়ুন:
‘অক্সিডেটিভ মেডিসিন অ্যান্ড সেলুলার লঞ্জিটিভি’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ‘রেসভেরাট্রল’ নামক উপাদানটি আসলে এক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা শরীরে ফ্রি র্যাডিক্যালের সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের উপরে পড়া সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম ভাঁজ, বলিরেখা হয়ে ওঠার আগেই রুখে দেওয়া যেতে পারে আঙুর ব্যবহার করলে।
ত্বক বুড়িয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হল অতিবেগনি রশ্মি। অ্যালাবামা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, রোদ থেকে ত্বকের যে ধরনের বার্ধক্য হয় তা ‘ফোটো-এজিং’ নামে পরিচিত। আঙুর মাখলে এই ধরনের সমস্যাও রোধ করা যায়। শরীরে জলের ঘাটতি হলে ত্বকের আর্দ্রতা কমতে থাকে। এই কারণেও বয়সের তুলনায় ত্বক বুড়িয়ে যেতে পারে। আঙুর মাখলে ত্বকের আর্দ্রতাও বজায় থাকে।
আরও পড়ুন:
কী ভাবে মাখতে হয়?
আঙুর ভাল করে চটকে, ছেঁকে তা থেকে রস বার করে নিন। তার পর মাইল্ড কোনও ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে সেই রস মুখে মেখে নিন টোনারের মতো। আবার, টক দইয়ের সঙ্গে আঙুর মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিতে পারেন। মুখে তা মেখে রাখুন মিনিট পনেরো। তার পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। তাতেও কাজ হবে। টক দইয়ের পরিবর্তে অ্যালো ভেরা জেলের সঙ্গে মিশিয়েও আঙুর মাখা যায়।