ত্বকের যত্নে লবঙ্গের ব্যবহার। ছবি: সংগৃহীত।
ঠান্ডা লাগা থেকে গলা খুসখুস, সর্দি-জ্বরের ঘরোয়া দাওয়াই মানেই লবঙ্গ। হালকা গলা ব্যথা হলেই গরমজলে লবঙ্গ ফেলে গার্গেল করে নিলেই মেলে উপশম। দাঁতে ব্যথা কিংবা শুকনো কাশি হলেও, লবঙ্গই মুশকিল আসান করে। আবার রান্নাতেও লবঙ্গের ব্যবহার করা হয়। বিরিয়ানি হোক কিংবা কষা মাংস— লবঙ্গ দিলে স্বাদই বদলে যায়। লবঙ্গের বহু গুণ। রূপচর্চাতেও লবঙ্গের জুড়ি মেলা ভার। বিশেষ করে ত্বকের যত্নে লবঙ্গের মতো কার্যকরী উপকরণ আর হয় না।
ব্রণর সমস্যা বারোমাসের। ব্রণর হাত থেকে রেহাই পেতে লবঙ্গ তেল ব্যবহার করতে পারেন। এই তেলে রয়েছে অ্যান্টিসেপ্টিক গুণ, যা মূল থেকে ব্রণ সারিয়ে তোলে। ব্রণ সারলেও দাগ রয়ে যায়। লবঙ্গ তেলে ব্রণর দাগ ফিকে করে দেয়। শুষ্ক ত্বকের দাওয়াই হল লবঙ্গ তেল। শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে বাজারচলতি প্রসাধনী না মেখে, লবঙ্গ তেল ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বকে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না।
১) দিনে যখনই কোনও ময়শ্চরাইজার বা কোনও ক্রিম মাখবেন, তখন তার সঙ্গে ২-৩ ফোঁটা লবঙ্গ তেল মেশান। তার পর সেটি মুখে লাগান। এই অভ্যাস রোজ নিয়ম মেনে বজায় রাখুন।
২) ত্বকের যত্নে নারকেল তেল খুবই উপকারী। ব্রণর জায়গায় ১০-১২ ফোঁটা নারকেল তেলের সঙ্গে ৩-৪ ফোঁটা লবঙ্গ তেল মিশিয়ে লাগান। সারা রাত রেখে পরের দিন ধুয়ে ফেলুন। এ ছাড়া, পুরো মুখেও নারকেল তেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লবঙ্গ তেল মিশিয়ে লাগাতে পারেন। সে ক্ষেত্রে মিনিট কুড়ি রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। অলিভ অয়েল বা জোজোবা অয়েল ব্যবহারের অভ্যাস থাকলে তার সঙ্গেও লবঙ্গ তেল মিশিয়ে লাগাতে পারেন।
ঘরোয়া প্যাকের সঙ্গে লাগাতে পারেন লবঙ্গ তেল। যে প্যাকই ব্যবহার করুন না কেন, তার উপর কয়েক ফোঁটা লবঙ্গ তেল মিশিয়ে ত্বকে লাগান। ব্রণর সমস্যা কমবে।
৩) অনেকেই ত্বকের সুস্বাস্থ্য ফেরাতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করেন। সে ক্ষেত্রে ভিটামিন ই ক্যাপসুল কেটে তার সঙ্গে ২-৩ ফোঁটা লবঙ্গ তেল মিশিয়ে ত্বকে মাখিয়ে রাখুন। এতে ত্বক হয়ে উঠবে নরম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy