অনেকেই ত্বকের যত্নে স্নানের জলে মিশিয়ে নেন অলিভ অয়েল, নারকেল তেল। ছবি: সংগৃহীত
শীতকাল এসেছে যে কয়েকটি লক্ষণ দেখলে বোঝা যায়, ত্বকের শুষ্কতা তার মধ্যে অন্যতম। শীতকালেই মানেই ত্বকের সমস্যার বাড়বাড়ন্ত। র্যাশ, চুলকানি তো আছেই। তবে শীত পড়তেই ত্বকের শুষ্কতা যেন ধেয়ে আসে। বছরের অন্য সময় যে ত্বক শুষ্ক থাকে না, তা কিন্তু নয়। তবে শীতকালে শুষ্কতার মাত্রা অনেক বেশি বেড়ে যায়।
ত্বক থেকে শীতকালীন রুক্ষতা দূর করতে অনেকেই ভরসা রাখেন বাজারচলতি নানা প্রসাধনীর উপর। কেউ আবার ঘরোয়া উপায়েও পরিচর্যা করেন ত্বকের। তাতেও যে খুব আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়, তেমন নয়। ত্বকের শুষ্কতা দূর করা মুখের কথা নয়। অনেক সময় বাইরে থেকে দেখে মনে হয়, ত্বক বুঝি মসৃণ আছে। কিন্তু একটা নখ দিয়ে আঁচড় কাটলে সাদা সাদা দাগ পড়ে যায়। তাতেই বোঝা যায়, ত্বকের চাই ভিতর থেকে যত্ন।
শীতকালে অনেকেই আবার গরম জল ছাড়া স্নান করেন না। গরম জলে স্নান করলে সাময়িক ভাবে স্বস্তি পেলেও, আসলে ত্বকের উপর এর খারাপ প্রভাব পড়ে। ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায়। তবে জলের মধ্যে মিশিয়ে নেওয়া যায় একটি বিশেষ উপাদান, তা হলে বজায় থাকবে ত্বকের মসৃণতা।
অনেকেই ত্বকের যত্নে স্নানের জলে মিশিয়ে নেন অলিভ অয়েল, নারকেল তেল। তবে সবচেয়ে বেশি উপকার পেতে স্নানের জলে মেশান কাঠবাদাম তেল। এই তেলের বহুমুখী ব্যবহার রয়েছে। মেকআপ তোলা থেকে হাত, পা মালিশ— কাঠবাদাম তেলের উপকারিতা কম নয়। ভিটামিন ই-সমৃদ্ধ এই তেল ভিতর থেকে কোমল রাখে ত্বক। এই ভিটামিন ত্বকের ময়েশ্চারাইজার হিসাবে কাজ করে। সূর্যের ইউ ভি রশ্মি থেকে ত্বক সুরক্ষিত রাখতেও এই তেল দারুণ উপকারী। স্নানের জলে এক ফোঁটা এই তেল ফেলে দিলে ত্বক হবে কোমল এবং মসৃণ।
অন্য ভাবে ব্যবহার করতে পারেন এই তেল। স্নান করে ওঠার পরে কিংবা রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগেও ত্বকে মাখতে পারেন কাঠবাদাম তেল। চিনি কিংবা ওটসের সঙ্গে মিশিয়েও স্ক্রাব হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy