প্যারিস ফ্যাশন উইকে ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। ছবি : ইনস্টাগ্রাম।
তিনি ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। এই ভরা ৫০-এও তিনি রূপোলি দুনিয়ার চুম্বক। এয়ার পোর্ট হোক বা অ্যাওয়ার্ড সেরেমনি কিংবা প্যারিস ফ্যাশন উইক। পোশাক নিয়ে সমালোচনা হোক বা প্রশংসা— তাঁকে অগ্রাহ্য করে সাধ্যি কার। কারণ ৫০-এও ঐশ্বর্যের চোখ ধাঁধানো রূপ। বয়সের জন্য মেদ বাহুল্য বাড়লেও তাঁর নীল চোখের চাহনি আর হাসি অনুরাগীদের এখনও মোহগ্রস্ত করে। ভক্তরা বলেন, ঐশ্বর্যের বয়স বাড়ছে ঠিকই, কিন্তু উৎকৃষ্ট ওয়াইন যেমন পুরনো হলে আরও ভাল হয়, ঐশ্বর্যও তেমনই আরও লাবণ্যময় হচ্ছেন। তাঁর ত্বকের জেল্লা এখনও বলিউডের বহু নায়িকাকে দশগোল দিতে পারে। কিন্তু ওই জেল্লার নেপথ্য রহস্যটা কী?
তারকারা এমনিতেই নিজেদের যত্নে রাখেন। সাধারণ মানুষ চাকরির জন্য যেমন অফিসে কাজ করেন, রূপোলি জগতের তারকাদের কাছে তাদের চেহারাটাই এক ধরনের অফিস। তাকে ভাল রাখতে প্রতি মুহূর্তে পরিশ্রম করতে হয়। যত্ন করতে হয়। এক কালের বিশ্বসুন্দরীকেও নিজের যত্ন নিতে হয়। যদিও ঐশ্বর্য বলছেন, তিনি ত্বক পরিচর্যার ব্যপারে খুব বেশি পরিশ্রমে বিশ্বাস করেন না। ত্বকের পরিচর্যার জন্য তিনি সহজ একটি নীতি মনে চলেন এবং মনে করেন সেটিই সবচেয়ে কার্যকরী উপায়।
প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরীর কাছ থেকে ত্বক পরিচর্যার টিপস পাওয়া মুখের কথা নয়। তিনিও ওই পরামর্শ সর্বত্র বলে বেড়ান না। তবে এক বার ঐশ্বর্য নিজের ত্বকের যত্ন নিয়ে কথা বলেছিলেন ব্রিটেনের একটি ফ্যাশন পত্রিকার সঙ্গে। ঐশ্বর্যকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তাঁর প্রতিদিন সকালের রূপচর্চার রুটিন কী? কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় তারকারা তাঁদের সকালের রূপচর্চাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন। ঐশ্বর্য অবশ্য প্রশ্ন শুনে বলেছিলেন, খুবই সহজ। আমি খুব আলাদা কিছু করি না। আর পাঁচ জন মহিলা যেমন রোজ প্রতি মুহূর্তে সকাল থেকে রাত সময়ের সঙ্গে যুদ্ধ করে আমিও করি। তাই সারাদিনের সঙ্গে পাল্লা দিতে দিতে আমি যেটাকে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিই, তা হল শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখা আর পরিচ্ছন্ন থাকা।’’
ঐশ্বর্য মনে করেন পরিচ্ছন্নতাই যেকোনও সমস্যার সমাধানের গোড়ার কথা। তাঁর মতে, ‘‘যেকোনও সমস্যার সমাধানই হওয়া উচিত ভিতর থেকে। আপনি যদি ভিতরটাকে ভাল রাখেন, পরিচ্ছন্ন রাখেন, আর্দ্র রাখেন। তবে আপনার বাইরের ত্বক নিজেই নিজের খেয়াল রাখবে।’’ এছাড়া দিনের শুরুতে এবং দিনের শেষে ত্বককে ভাল করে ময়শ্চারাইজ় করাকেও গুরুত্ব দেন ঐশ্বর্য।
প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এই বয়সে দাঁড়িয়ে যদি ছোটবেলার ঐশ্বর্যকে কোনও পরিচর্যা সংক্রান্ত পরামর্শ দিতে বলা হয়, তিনি কী বলবেন? জবাবে ঐশ্বর্য বলেছেন, ‘‘জল খেতে বলব। কারণ আমার মনে হয়, সেই সব নানা ব্যস্ততার কারণে আমি হয়তো যথেষ্ট পরিমাণে জল খাইনি।’’ আর কেরিয়ারের শুরুতে পাওয়া কোন উপদেশটি তাঁর আজও মূল্যবাণ মনে হয়? ঐশ্বর্য বলেছেন, ‘‘আমাকে কেউ এক জন বলেছিলেন, তুমি যা, তা-ই থাকো। সহজ থাকো। আমার মনে হয়। নিজে যা তা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী থাকাটাই সেরা উপদেশ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy