অস্ত্রোপচারের আগে সে বার বার পরীক্ষক ও স্কুল শিক্ষিকাদের জানাতে থাকে যে, বাকি পরীক্ষাগুলি দিতে চায়। ছবি: সংগৃহীত।
জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় কোনও রকম আপস করতে নারাজ। তাই অ্যাম্বুল্যান্সে শুয়েই পরীক্ষা দিলেন দশম শ্রেণির ছাত্রী। ঘটনাটি মুম্বইয়ের বান্দ্রা এলাকার। শুক্রবার বিজ্ঞান পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে রাস্তা পার করার সময়ে আঞ্জুমান-ই-ইসলাম স্কুলের ছাত্রী মুবাশিরা সাদিক সইদ গাড়ির ধাক্কায় আহত হয়। বাঁ পায়ে তার গভীর ক্ষত হয়। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সঙ্গে সঙ্গে অস্ত্রোপচার করতে হয়।
অস্ত্রোপচারের আগে সে বার বার পরীক্ষক ও স্কুল শিক্ষিকাদের জানাতে থাকে যে বাকি পরীক্ষাগুলি দিতে চায়। প্রধান পরীক্ষক সন্দীপ কারমালে বলেন, “দুর্ঘটনাটি আমার পরীক্ষা কেন্দ্র, সেন্ট স্ট্যানিসলাস উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছেই ঘটেছে। ঘটনাটির পর আমরা ছাত্রীর স্কুলের অধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং ওকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাই।”
ঘটনার কথা শোনা মাত্র আঞ্জুমান-ই-ইসলাম স্কুলের অধ্যক্ষ সাবা পটেল হাসপাতালে আসেন। তিনি বলেন, ‘‘হাসপাতালে মুবাশিরা ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। মুবাশিরা মেধাবী ছাত্রী। স্কুলের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাই চাইছিলেন, যেন সে পরীক্ষা দিতে পারে। সে কারণেই আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবি। বোর্ডের প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি মুবাশিরাকে অ্যাম্বুল্যান্সে বসে পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। স্কুলের তরফ থেকেই অ্যাম্বুল্যান্স জোগাড় করা হয়েছে।’’
অ্যাম্বুল্যান্সে শুয়ে শুয়েই মুবাশিরা পরীক্ষা দেয়। পরীক্ষা শেষের পর সে জানায়, তাঁর পরীক্ষা ভালই হয়েছে। মুবাশিরা বলে, ‘‘আমার বাড়ির আর্থিক অবস্থা ভাল না। আমার চিকিৎসার পুরো দায়িত্বই স্কুল নিয়েছে। স্কুলের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy