প্রতিটি শিশুর মুখেই অসম্ভব মিল চোখে পড়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
পরিচয় গোপন রেখে ৬০ বার শুক্রাণু দান করেছিলেন। ঘুণাক্ষরেও টের পাননি কেউই। অস্ট্রেলিয়ার যে প্যাথোলজি সংস্থা শুক্রাণু সংগ্রহ করে, তারাও কিছু বুঝতে পারেনি। কিন্তু রহস্য ফাঁস হল সংস্থারই একটি বার্ষিক অনুষ্ঠানে। যখন সকল দম্পতি তাঁদের সন্তানদের নিয়ে মুখোমুখি হলেন। প্রতিটি শিশুর মুখেই অসম্ভব মিল চোখে পড়ে। তা দেখে বিস্মিত হন বাবা-মায়েরা। টনক নড়ে সংস্থার কর্তৃপক্ষেরও।
সত্যিটা প্রকাশ্যে আসার পরেও মানবিকাতার খাতিরে শুক্রাণুদাতার পরিচয় প্রকাশ করেনি সংস্থা। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি চারটি ভুঁয়ো নাম ব্যবহার করে কাণ্ড ঘটিয়েছেন। প্যাথোলজির চিকিৎসক জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি প্রথম বার নিজে এসে শুক্রাণু দিয়ে গিয়েছিলেন।
সেই সময়ে কথায় কথায় তিনি জানিয়েছিলেন, ফেসবুকে এই বিষয়টি সংক্রান্ত একটি গ্রুপ রয়েছে তাঁর। তার পর আর কখনও তিনি আসেননি। পুরো ঘটনাটি জানার পর চিকিৎসকদের মনে হচ্ছে, নিজে না এলেও আলাদা আলাদা নামে শুক্রাণু পাঠাতেন ওই ব্যক্তি। প্রতি বারই তাঁকে তাঁর প্রাপ্য অর্থ দেওয়া হত।
নিয়ম মতো, শুক্রাণুর বদলে কোনও দম্পতির কাছ থেকে টাকা নিতে পারেন না দাতা। যে সংস্থার মাধ্যমে শুক্রাণু প্রদান হচ্ছে, সেখান থেকে সর্বোচ্চ ৩৪৮০ টাকা পেতে পারেন শুক্রাণু দাতা। সেই সঙ্গে এও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে যে, এক জন দাতা সবচেয়ে বেশি ১০ জন দম্পতিকে শুক্রাণু দান করতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy