ভারোত্তোলনের সময়ে নিশ্বাস চেপে রাখা নৈব নৈব চ। ছবি- সংগৃহীত
টানটান, নির্মেদ চেহারা পেতে কে না চান! তার জন্যই তো জিমে গিয়ে ঘাম ঝরানো। তবে টানা সাইক্লিং, ট্রেড মিলে দৌড়নোর পর, কমবেশি সকলেরই লক্ষ্য থাকে ওজন তোলার উপর। কারণ, কম সময়ে অভীষ্ট চেহারা পেতে হবে। ওজন তোলার অভ্যাস করা ভাল। কিন্তু তাতেও ঝুঁকি কম নেই। দেহের ভার অনুযায়ী নিয়ম মেনে ওজন না তুললে হতে পারে বড় বিপদ। এমনকি, থাকে হৃদ্রোগের আশঙ্কাও।
বিশেষজ্ঞদের মতে,‘ওয়েট ট্রেনিং’ করা খুব ভাল। কিন্তু নিয়ম না মানলেই বিপদ। নিয়মিত ওজন তোলা অভ্যাস করতে পারলে পেশি মজবুত হয়। হাড়ের গঠনও ভাল হয়। তবে ওজনে একচুল এ দিক-ও দিক হয়ে গেলে কিন্তু বিপদ বাড়বে বই কমবে না।
কী কী মাথায় রাখবেন?
শরীরচর্চার শুরুতেই ভারোত্তোলন নয়। অন্তত মাস কয়েক হালকা ব্যায়াম করতে হবে। শরীর অভ্যস্ত হলে তার পর ভারোত্তোলনের মতো কঠোর ব্যায়াম করা যেতে পারে।
আবার তাড়াতাড়ি সুফল পেতে বাড়িতেই অনেকে ভারী আসবাবপত্র তুলে ওয়েট লিফটিং শুরু করে দেন। সেটাও কিন্তু খারাপ। এর ফলে শরীরের বিভিন্ন অস্থিসন্ধিতে সমস্যা হতে পারে৷ শিরায় টান ধরতে পারে। শিরদাঁড়াতেও সমস্যা দেখা যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনও ব্যায়ামই একটানা ১০ মিনিটের বেশি করা উচিত নয়। ব্যায়ামের পর পাঁচ মিনিট বিরতি নিন। এতে হৃৎপিণ্ড বিশ্রাম পায়। তাড়াহুড়ো নয়। সময় নিয়ে আস্তে আস্তে ব্যায়াম করা অভ্যাস করুন।
কী করবেন, কী করবেন না?
ভারোত্তোলনের সময়ে নিশ্বাস চেপে রাখা নৈব নৈব চ।
ভারোত্তোলন করতে গিয়ে বুকের বাঁ পাশে ব্যথা অনুভব করলে তখনই ব্যায়াম বন্ধ করুন।
এক দিন শরীরের উপরের অংশ, এক দিন নীচের দিক, এই ভাবে রুটিন করে হোক ওয়েট ট্রেনিং। এক দিনে দুটো করার প্রয়োজন নেই। তাতে শরীরে বাড়তি চাপ পড়ে।
ভারোত্তোলন শুরু করার প্রথম সপ্তাহেই বেশি ভার তুলবেন না। আস্তে আস্তে শরীরকে অভ্যস্ত হতে সময় দিন। তার পর বেশি ভার নিয়ে ব্যায়াম করুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy