ওজ়েম্পিক নিয়ে এত চর্চার মাঝেই ওজন কমানোর নতুন ওষুধ এল দেশের বাজারে। ওষুধটি নাম মাউনজেরো। আমেরিকার ওষুধ নির্মাতা সংস্থা এলি লিলির তৈরি এই ওষুধটি বহু বার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হওয়ার পরে এ দেশে বিক্রির জন্য ছাড়পত্র পায়। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় ড্রাগ নিয়ামক সংস্থা (সিডিএসসিও) ওষুধের বিক্রিতে অনুমোদন দিয়েছে।
মাউনজেরো মূলত ডায়াবিটিসের ওষুধ। জিআইপি ও জিএলপি-১ নামক দু’টি হরমোনকে সক্রিয় করে রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। বহু দিন ধরে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক ওষুধ হিসেবে প্রয়োগ করা হত মাউনজেরো। কিন্তু পরে এর উপাদানে নানা বদল এনে স্থূলতা কমাতেও এটির প্রয়োগ করার চেষ্টা শুরু করেন বিজ্ঞানীরা। বহু মানুষের উপর পরীক্ষা করে সাফল্যও পাওয়া যায় বলে দাবি। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ২৫৩৯ জন প্রাপ্তবয়স্কের উপর প্রাথমিক ভাবে ওষুধটির ডোজ় পরীক্ষা করা হয় মাস তিনেকের মতো। দেখা যায়, ওষুধটি ১৫ মিলিগ্রাম ডোজ়ে যাঁরা নিয়েছেন, তাঁদের তিন মাস পরে ওজন কমেছে ২১ কেজির মতো। ৫ মিলিগ্রাম ডোজ়ে নিয়েছিলেন যাঁরা, তাঁদের ওজন কমেছে গড়ে ১৫ কেজির মতো। তবে এর সঙ্গে তাঁদের ডায়েট ও শরীরচর্চাও করতে হয়েছে নিয়ম করে।
কাদের জন্য এই ওষুধ?
নির্মাতা সংস্থা এলি লিলির তরফে জানানো হয়েছে, ওষুধটি ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে নিতে হবে। যাঁদের স্থূলতা রয়েছে অর্থাৎ বডি-মাস-ইনডেস্ক (বিএমআই) ৩০ বা তার বেশি, তাঁরা নিতে পারবেন এই ওষুধ।
আরও পড়ুন:
বিএমআই ২৭ বা তার বেশি হলেও ওষুধটি নেওয়া যাবে।
টাইপ ২ ডায়াবিটিস থাকলেও এই ইঞ্জেকশন নেওয়া যাবে।
স্থূলত্বের কারণে ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হয়েছেন, এমন লোকজনও ইঞ্জেকশনটি নিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।
দাম কত?
ওষুধটি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিতে বারণ করা হয়েছে। এ দেশে আড়াই মিলিগ্রাম ভায়ালের দাম ৩৫০০ টাকা ও ৫ মিলিগ্রাম ভায়ালের দাম ৪৩৭৫ টাকা। সপ্তাহে এক বারই নিতে হয় এর ডোজ়। এক মাসের থেরাপির খরচ ডোজ়ের হিসেবে ১৪ থেকে ১৭ হাজার টাকার মতো পড়বে।