ওজন কমিয়ে রোগা হতে চান। তার জন্য পরিশ্রমও কম করেন না। জিমে যাওয়া, সাঁতার কাটা, যোগাসন, ব্রিস্ক ওয়াক— কী না করেন! বিস্তর চেষ্টা করার পরেও ওজনে এতটুকু হেরফের না হলে ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন অনেকেই। নিত্য দিন ঘরে-বাইরের নানা রকম কাজ সামলে, সময় বার করাও মুশকিল হয়। প্রশিক্ষকেরা বলেন, শরীরচর্চার ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে না পারলে কিন্তু তার কোনও প্রভাবই চোখে দেখতে পাবেন না। তবে শরীরচর্চা না করেও শরীরের বাড়তি মেদ ঝরানো যায়।
আরও পড়ুন:
শরীরচর্চার বদলে কী কী করলে ওজন ঝরতে পারে?
১) কম ক্যালোরির খাবার খেয়ে
শারীরবৃত্তীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে যে পরিমাণ ক্যালোরি প্রয়োজন, তার চেয়ে বেশি হলেই বিপদ। কায়িক পরিশ্রম করে সেই ক্যালোরি পুড়িয়ে না ফেলতে পারলে, তা শরীরে জমে যাবে। শরীরচর্চা যদি করতে না-ই চান, সে ক্ষেত্রে ক্যালোরির পরিমাণ কমিয়ে দিন।
২) জীবনযাপন বদলে
শুধু খাবার না খেয়ে শুকিয়ে থাকলে কিন্তু রোগা হওয়ার বাসনা পূর্ণ হবে না। সঙ্গে জীবনযাপনে পরিবর্তন আনতে হবে। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তবেই হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকবে। এই পরিবর্তনগুলি জীবনে আনতে না পারলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন না।
৩) সারা দিন সক্রিয় থেকে
সেই অর্থে শরীরচর্চা না করেও ঘাম ঝরাতে পারেন, বাড়ির কাজ করে। অফিসে দৌড়ঝাঁপ করলেও একই রকম প্রভাব পড়ে। সারা ক্ষণ এক জায়গায় বসে বা শুয়ে থাকলে কিন্তু মেদ ঝরবে না।
আরও পড়ুন:
৪) এক গ্লাস হালকা গরম জল
এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জল খেয়ে সকাল শুরু করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। বিশেষ করে রোগা হতে চাইলে গরম জল বেশ কার্যকর। শরীরের যাবতীয় টক্সিন বার করে দিতে গরম জলের জুড়ি মেলা ভার। হজমের উন্নতিতেও দারুণ সাহায্য করে গরম জল।
৫) জলখাবারে প্রোটিন
ওজন কমানোর সময় অনেকেই প্রোটিন ঠিক মতো খান না। পুষ্টিবিদরা বলছেন, ভরপুর প্রোটিন আছে এমন খাবার অনেক ক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে। ফলে বার বার খাবার খাওয়ার প্রবণতা কম থাকে। অনেক ক্ষণ ধরে শরীরচর্চা করার শক্তিও জোগায় উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার।