কিব্বের গ্রাম। ছবি: সংগৃহীত
করোনা আতঙ্ক কমে গেলেও খুব দ্রুত পর্যটন ব্যবস্থা আগের অবস্থায় ফিরবে না। ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে বড় দলে বেড়াতে যাওয়া তো দূরের কথা, ট্রেনে, বাসে বা বিমানে আসাযাওয়ার ক্ষেত্রেও নানা বিধিনিষেধ থাকবে। ফলে একা বা দু’-তিন জনে বেড়ানোর পরিমাণ বাড়তে পারে। সেই হিসেবে মোটরবাইকে বা নিজের গাড়িতে ভ্রমণের সংখ্যাও বাড়বে বলে মনে করছেন অনেকে। এতে সংক্রমণের আশঙ্কা অনেকটাই কমবে।
কোভিড পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে যদি আপনারও এমন কোনও পরিকল্পনা থাকে, তা হলে বেছে নিতে পারেন কিব্বের বা কিবর গ্রাম। হিমাচলের অত্যন্ত জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র স্পিতি উপত্যকার কাছেই এই গ্রামটি।
কিব্বেরের উচ্চতা ১৪, ২০০ ফুট। এখানকার বৌদ্ধমঠ দেখার জন্য অন্য দেশ থেকেও পর্যটকেরা এখানে হাজির হন। এখানকার বন্যপ্রাণী দেখতেও আসেন অনেকে। তার বাইরেও এমন কিছু আছে, যা কিব্বেরকে একেবারে অনন্য করে তুলেছে। এই গ্রামের পোস্ট অফিসটি পৃথিবীর উচ্চতম স্থানে অবস্থিত পোস্ট অফিস। এখানে পৌঁছতে হয় পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু মোটর চলাচলের রাস্তাটি দিয়ে। পথে পড়ে চিচাম ব্রিজ। এটি এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে উঁচুতে বসানো সেতু।
কিব্বের গ্রামের বাড়িঘর তিব্বতী ঘরানার। ঠান্ডা মরুভূমির মাঝে থাকা এই গ্রাম আলোকচিত্রীদের জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয়। এখানকার মানুষ মূলত কৃষিনির্ভর জীবনযাপন করেন।
কী ভাবে পৌঁছবেন এখানে? বাইক বা নিজের বাড়িতে গেলে হিমাচলের কাজা থেকে খুব সহজেই পৌঁছনো যায় এখানে। মাত্র ২০ কিলোমিটার রাস্তা। কোভিডের আতঙ্ক কেটে যাওয়ার পর বাসে যেতে চাইলে, সেটাও সম্ভব। স্পিতি উপত্যকাগামী বাস এই গ্রাম ছুঁয়েই যায়। নেমে গেলেই হল।
গ্রামের স্থানীয়দের বাড়িতেই রয়েছে থাকার ব্যবস্থা। তবে মনে রাখতে হবে, এই গ্রামে শীতে কেউ থাকেন না। তখন স্থানীয় মানুষ তুলনামূলক ভাবে নীচের কোনও এলাকায় নেমে আসেন। তাই এখানে যেতে হলে গ্রীষ্মেই সম্ভব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy