স্বামী যখন বাবা। প্রতীকী ছবি।
সৎবাবাকে ভালবাসি, ওঁকেই বিয়ে করেছি। সম্প্রতি নিজের জীবনের এমন রহস্য ফাঁস করেই সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হন ফ্লোরিডার এক তরুণী। প্রেম কোনও বাধ মানে না, তা আরও এক বার প্রমাণ করলেন লাস ভেগাসের নবদম্পতি ক্রিস্টি এবং জন। স্বামী-স্ত্রী হওয়ার আগে দু’জনের মধ্যে ছিল বাবা-মেয়ের সম্পর্ক। সমাজমাধ্যমে ক্রিস্টি ফলাও করে বলেন, ‘‘সৎবাবাকে বিয়ে করার পরিকল্পনা আমার জীবনের সবচেয়ে সেরা সিদ্ধান্ত!’’ এই ভিডিয়োতে ছড়িয়ে পড়তেই চারদিকে শুরু হয় নিন্দা। জবাবে ক্রিস্টি বলেন, ‘‘যা করেছি, বেশ করেছি।’’ এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই রাতারাতি বাড়তে থাকে সমাজমাধ্যমে ক্রিস্টির অনুরাগীদের সংখ্যা! ভাল উপার্জনও হতে শুরু করে। তবে সবটাই সাময়িক!
কথায় আছে, অতি লোভে তাঁতি নষ্ট। ক্রিস্টির সঙ্গেও ঠিক তেমনটাই হল। আদতে সমাজমাধ্যমে পরিচিতি লাভ করার জন্যই ক্রিস্টি নিজের জীবন নিয়ে মিথ্যা গল্প প্রচার করেন। জন আদতেও তাঁর সৎবাবা নন, কেবলই স্বামী। জন ও ক্রিস্টির প্রেমকাহিনি খুবই সাধারণ। সেই কাহিনি ততটাও অনুরাগীদের মনে দাগ কাটবে না। ভাইরাল হওয়ার জন্য প্রেমকাহিনিতে ‘টুইস্ট’ আনেন। পরে আরও ভাইরাল হওয়ার জন্য আর একটি ভিডিয়োতে তিনি জানান আসল সত্যটি। তিনি জানান, জন তাঁর সৎবাবা নন। তবে জনের সঙ্গে বয়সের ফারাক প্রায় ১৬ বছরের। ক্রিস্টি বলেন, ‘মোটরবাইক দুর্ঘটনায় আমার বড় দাদা মারা যাওয়ার পর আমি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ি। তখনই আমার জীবনে জন আসে। একে অপরের প্রেমে পড়ি আমরা, আমাদের বিয়ে হয়, দু’টি বাচ্চাও আছে।’’
এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়া মাত্রই তাঁর অনুরাগীরা বিশাল রেগে যান। এক জন লেখেন, ‘‘ভাইরাল হওয়ার জন্য এত নিম্নমানের কাজ করা মোটেই উচিত হয়নি ক্রিস্টির! ধিক্কার জানাচ্ছি।’’ রাতারাতি কমে যেতে থাকে ক্রিস্টির অনুরাগীদের সংখ্যা। সংবাদমাধ্যম ক্রিস্টি বলেন, ‘‘এখন লোকে মনগড়া মশলাদার গল্প শুনতেই বেশি ভালবাসে। সাধারণ গল্পে তাঁদের কোনও আগ্রহ নেই। তাই এখন আমার অনুরাগী কমছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy