কুকুর কামড়ে বিপত্তি? ছবি- সংগৃহীত
বছর কুড়ির এক তরুণীর নাকে কামড়ে দিয়েছিল তার বাবার পোষ্য কুকুর। অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তার ফল যে এমন হবে, তা আঁচ করতে পারেননি কেউই। অস্ত্রোপচারের পরই হঠাৎ নাকের ডগায় গজাতে শুরু করেছিল লোম।
গত সেপ্টেম্বরে ট্রিনিটি রাউল্সের নাকে কামড় বসিয়েছিল তাঁর বাবার পোষ্য ‘পিটবুল-বুলডগ’ মিশ্র জাতের একটি কুকুর। ছিন্নভিন্ন হয়েছিল হাত, কান, মুখের একাংশ। ইতিমধ্যে চার বার অস্ত্রোপচার হলেও মুখের চেহারা আবার আগের মতো হচ্ছিল না কিছুতেই। তাই নাক প্রতিস্থাপন করার প্রয়োজন ছিল। চিকিৎসকরাও পরামর্শ দিয়েছিলেন ‘স্কিন গ্রাফটিং’ করার।
এই ধরনের অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে সাধারণত রোগীর দেহের কোনও অংশ থেকে চামড়া, মাংস তুলে নিয়ে ক্ষতস্থান মেরামত করার চেষ্টা করেন চিকিৎসকরা। ট্রিনিটির নাকের ওই অংশ মেরামত করার জন্য তাঁর কপাল এবং মাথার ত্বকের বেশ কিছু অংশ তুলে নিয়ে প্রতিস্থাপন করেছিলেন। ফলস্বরূপ তরুণীর নাকে গজাতে শুরু করেছিল লোম। ট্রিনিটি বলেন, “আইরিশ, আমাদের বাড়িতে রয়েছে বছর পাঁচেক। ও খুবই আদুরে। আমার সঙ্গে ওর খুব সখ্য। বাবা বাড়িতে না থাকলে আমিই ওর দেখাশোনা করতাম।”
ওই তরুণী জানিয়েছেন, যে দিন ওই কুকুরটি তাঁকে আক্রমণ করে, তার কিছু ক্ষণ আগেই বাবার সঙ্গে তাঁর কোনও বিষয় নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলছিল। হয়তো তখন থেকেই ‘আইরিশ’-এর মনে রাগের সঞ্চার হয়েছিল। ট্রিনিটি বলেন, “এই ধরনের কুকুর খুবই অনুভূতিপ্রবণ। ও হয়তো ভেবেছিল আমার বাবা অর্থাৎ, ওর প্রভুকে বিপদ থেকে রক্ষা করতে হবে। তাই হয়তো এমন আচরণ করেছে।”
হাসপাতালে চার দিন থাকার পর, কিছুটা সুস্থ হলে ট্রিনিটি আবার ফিরে আসে নাক প্রতিস্থাপনের জন্য। প্রতিস্থাপন সফল হলেও তার পরই এমন অদ্ভুত ঘটনা ঘটায় মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন ওই তরুণী। বাড়িতে এই ধরনের পোষ্য আনার আগে তার সুবিধা-অসুবিধা যাচাই করে নিতে বলেছেন বার বার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy