ডয়েলের অন্য চার সন্তানের থেকে কনিষ্ঠ জন একটু আলাদা। ছবি- প্রতীকী
জন্মের পর প্রথম বার সন্তানকে স্পর্শ করে বুঝতে পারছিলেন না সমস্যাটা ঠিক কোথায়। নতুন মা ডয়েলের কাছে অন্য রকম ঠেকছিল পুরো বিষয়টাই। বছর ছত্রিশের ডয়েল তাঁর সদ্যোজাতটিকে কোলে নিয়েই বুঝতে পারেন, তাঁর অন্য চার সন্তানের থেকে কনিষ্ঠ জন একটু আলাদা। তিনি বলেন, “সন্তানের চোখের দিকে তাকিয়েই বুঝতে পারি কিছু একটা গন্ডগোল রয়েছে। আমার অন্য সন্তানরা জন্মের পর যেমন ছিল, এই বার একেবারেই তা অন্য রকম।”
অবশ্য অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় থাকাকালীনই ডয়েল জানতে পেরেছিলেন যে, ভ্রূণের হৃদ্যন্ত্রে দুটি ছিদ্র রয়েছে। কিন্তু তার জন্য কোনও সমস্যা হয়নি। তবে জন্ম দেওয়ার পর এমন বিরল অনুভূতি ডয়েলকে বাধ্য করে এই সম্পর্কে বিস্তারিত পরীক্ষানিরীক্ষার দিকে এগিয়ে যেতে।
বিস্তর পরীক্ষার শেষে চিকিৎসকরা তাঁকে জানান, সদ্যোজাতটির দেহে একটি ক্রোমোজ়োম নেই। যা সত্যিই বিরলতম একটি ঘটনা। সাধারণত মানুষের দেহে ২৩ জোড়া ক্রোমোজ়োম থাকার কথা। কিন্তু এই ক্ষেত্রে শিশুটির দেহে ক্রোমোজ়োমের কোনও একটি অংশ বিলুপ্ত হয়েছে। ৪ থেকে ৬ হাজার জন সদ্যোজাতের মধ্যে এক জনের শরীরে এমন বিরলতম রোগের দেখা মেলে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। যা ভবিষ্যতে শিশুটির ইন্দ্রিয়ের উপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে অনুমান করছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy