কী কী আছে তেন্ডুলকরদের বাড়ির ভিতরে? ছবি: সংগৃহীত।
শুভমিন গিল এবং সচিন-কন্যা সারা তেন্ডুলকরের প্রেমের গুঞ্জন মাঝেমাঝে বিশ্বকাপের উত্তেজনাকেও ছাপিয়ে যাচ্ছে। দু’জনের প্রেমের চর্চায় এখনও সিলমোহর না পড়লেও, যা রটে তার কিছুটা তো বটে ভেবে গোটা দেশ সারাকে ‘ভাবী’ হিসাবে ধরেই নিয়েছে। শুভমন যতই বিষয়টি এড়িয়ে যাক, খেলার মাঝে জায়েন্ট স্ক্রিনে সারার মিষ্টি হাসি তাঁকে যে চনমনে করে তোলে, সেটা এর আগে প্রমাণিত হয়েছে অনেক বারই। সারার হাসির মতো তাঁর বাড়িও কিন্তু চোখধাঁধানো। তবে বাড়ি না বলে রাজপ্রাসাদ বললেই বোধ হয় সঠিক বলা হয়। ২০১১ সাল থেকে বান্দ্রার এই অট্টালিকায় থাকতে শুরু করেন তেন্ডুলকর পরিবার। বাড়িটির দাম ১০০ কোটি টাকার কাছাকাছি। শুভমন জামাই হিসাবে এ বাড়ির চৌকাঠ পেরোবেন কি না, সেটা সময় বলবে। তাঁর আগে আপনি এক বার ঢুঁ দিতেই পারেন অন্দরে।
আরবসাগরের তীরে ৬ হাজার বর্গফুটের এই বাড়ি যেন একেবারে গোলকধাঁধা। প্রথম বার বাড়ির ভিতরে গেলে ঘুরতে ঘুরতে নিজেকে হারিয়ে ফেলা অস্বাভাবিক নয়। মূল ফটক দিয়ে বাড়ির ভিতর ঢুকতেই চোখে পড়বে বিশাল কচি কচি সবুজ ঘাসে মোড়া বাগান। বাহারি গাছ আর রংবেরঙের ফুলে সেজে উঠেছে বাগান। বাড়ির মধ্যে সারার সবচেয়ে প্রিয় জায়গা হল এই বাগান। বাড়িতে থাকলে দিনের অধিকাংশ সময় সারাকে এখানেই পাওয়া যায়। পোষ্যকে নিয়ে বাগানে টাঙানো দোলনায় বসে সময় কাটাতে সবচেয়ে ভালবাসেন তিনি।
বহুতল বাড়ির বিভিন্ন ফ্লোর মিলিয়ে ঘরের সংখ্যা অগুনতি। বাড়ির চার জন সদস্যের ঘর ছাড়া বাকি ঘরগুলি বেশির ভাগ সময়ে তালাবন্ধ থাকে। তবে যে ঘরের দরজা সব সময়ে খোলা, সেখানেই থাকেন সচিন তেন্ডুলকরের ঈশ্বর। সেই ঘরে ঢুকে মনে হতে পারে যেন তেত্রিশ কোটি দেবদেবী এখানেই বিরাজ করেন। তবে সেখানে ঠাকুরের মূর্তি, ছবি আর পুজোর সরঞ্জাম ছাড়াও সিংহাসনের পাশেই দাঁড় করানো রয়েছে একটি ব্যাট। আর ঠাকুরের পায়ের কাছে লাল ক্যাম্বিসের বল। সচিন তো বটেই, বাড়ির বাকি সদস্যদেরও দিনের একটি বিশেষ সময়ে সেখানেই কাটে।
বাড়িতে সুইমিং পুল লাগোয়া কিছুটা ফাঁকা জায়গা আছে। সেখানেই রোজ সকালে পুত্র অর্জুন এবং কন্যা সারাকে নিয়ে শরীরচর্চা করেন সচিন। মাঝে মাঝে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন অঞ্জলি তেন্ডুলকরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy