—প্রতীকী ছবি।
মাত্র ১১ বছর বয়সে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার কারণেই মৃত্যু হল নাবালিকার! কয়েক ঘণ্টা আগেই সে জানতে পেরেছিল কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তার। শেষমেশ আর শেষরক্ষা হল না। প্রায় পাঁচ বছর ধরে তলপেটে অসহ্য যন্ত্রণায় ভুগছিল আমেরিকার বাসিন্দা অ্যানাবেল গ্রিন হ্যালগ। তাকে একাধিক বার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, তবে সঠিক রোগ নির্ণয় করতে পারেননি চিকিৎসকেরা। শেষ বার তাঁকে যখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, তখন চিকি়ৎসকেরা জানিয়েছিলেন তার কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে, আর তার থেকেই যন্ত্রণা হচ্ছে। সে দিনের পরেই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বাড়ি ফেরার পরের দিনের সকালেই মৃত্যু হয় অ্যানাবেলের। অ্যানাবেলের মৃত্যুতে তার বাবা-মা স্তম্ভিত। মেয়ের রোগ ধরা পড়ার অল্প পরেই সে তাঁদের ছেড়ে চলে গিয়েছে, এই কঠিন বাস্তবটা তাঁরা মেনে নিতে পারছেন না। নির্দিষ্ট সেই হাসপাতালের বিরুদ্ধে অ্যানাবেলের বাবা-মা চিকিৎসায় গাফিলতির মামলাও দায়ের করেছেন। পুরো বিষয়টিই এখন বিচারাধীন।
চিকিৎসকেরা বলেছেন, শিশুরা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগলে অনেক সময় মুখে অরুচি আসে তাদের। সপ্তাহে তিন বারের কম মল ত্যাগ করলে, তাদের পেটব্যথা হলে বুঝতে হবে বাচ্চাটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছে। কী করলে এই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে রেহাই পাবে খুদেরা?
১. রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময় ১/২ চা চামচ ঘি-র সঙ্গে এক গ্লাস গরম দুধ খাওয়াতে পারেন, উপকার পাবেন।
২. খুদেকে ফাইবারে সমৃদ্ধ শাকসব্জি ও ফল বেশি করে খাওয়াতে তবে। কলা, স্ট্রবেরি, দই, চিয়াবীজ মিক্সিতে ঘুরিয়ে খাওয়াতে পারেন, উপকার হবে। খুব শক্ত খাবার খাওয়াবেন না, সেদ্ধ করা নরম খাবার বেশি করে খাওয়ান।
৩. শিশুকে বেশি করে জল খাওয়াতে হবে। শরীরে জলের ঘাটতি হলেও কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে যায়। তাই শিশুর জল খাবারের বিষয়টি নজরে রাখুন। চিপ্স, ভাজাভুজি ও মিষ্টির পরিমাণ কমিয়ে বাড়িতে তৈরি করা হালকা টাটকা খাবার খাওয়ালে উপকার হয়।
৪. রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পেটের উপর ডান দিক থেকে বাঁ দিক, হিং মাখালেও বাচ্চা গ্যাসের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারে।
৫. শিশুদের বেশির ভাগ সময়টা এখন বাড়িতেই কাটে। চেষ্টা করুন, শিশুকে বাইরে খেলতে নিয়ে যাওয়ার। মুঠোফোন নির্ভর না হয়ে বাইরে গিয়ে খেলাধূলার অভ্যাস করান।
এই সব টোটকা মেনেও যদি শিশু কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে রেহাই না পায়, তা হলে কিন্তু অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া দরকার। এই সমস্যা ফেলে রাখলে পরবর্তী সময়ে বড় বিপদ হতে পারে। তাই সতর্ক থাকুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy