অপুষ্টির শিকার, এমন শিশুদের চিকিৎসার জন্য পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পুষ্টি পুনর্বাসন কেন্দ্রের শয্যা সংখ্যা দশ থেকে বাড়িয়ে পনেরো করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ব্লকের মুগবেড়িয়ায় বিশ্ব খাদ্য দিবস উদ্যাপন অনুষ্ঠানে এই কথা ঘোষণা করেন জেলাশাসক অন্তরা আচার্য। তিনি জানান, এ ছাড়াও বিভিন্ন ব্লকে অপুষ্টির হাত থেকে শিশুদের রক্ষা করতে স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিকেও আরও যত্নবান হতে বলা হয়েছে।
বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও জেলা খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের উদ্যোগে এ দিন ভগবানপুর ২ ব্লকের মুগবেড়িয়া গঙ্গাধর কলেজে এক অনুষ্ঠান হয়। সেখানে জেলা সভাধিপতি মধুরিমা মণ্ডল বলেন, “শিশুদের পুষ্টির জন্য দামি দামি পথ্য দেওয়ার প্রয়োজন, এটা ভুল ধারনা। ঘরোয়া পুষ্টিকর খাবারেও শিশুরা ভাল স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারে।” মধুরিমাদেবী স্মরণ করিয়ে দেন, শিশুর সঙ্গেই তার মায়ের স্বাস্থ্যের দিকেও নজর রাখা জরুরি।
অনুষ্ঠানে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, অনেক ক্ষেত্রে স্কুলে ভর্তি হওয়ার আগেই শিশুরা অপুষ্টির শিকার হয়ে পড়ে। জেলায় বর্তমানে শূন্য থেকে ছয় বছর বয়সী প্রায় চার হাজার শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। এদের অধিকাংশ ভিটামিন এ ও আয়রন-এর অভাবজনিত কারণে। সিএমওএইচ-এর মত, একটু সতর্কতা আর যত্ন নিলেই শিশুদের এই অপুষ্টি দূর করা যায়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের নিয়ামক রঞ্জিত গোস্বামী, ভগবানপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কাজল বর্মন, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ মান্না প্রমুখ।
এ দিন ১৭০ জন শিশুর মায়েদের হাতে পুষ্টিকর এক মাসের খাদ্যের প্যাকেট তুলে দেওয়া হয়। পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়া নিয়ে বক্তব্য রাখেন পুষ্টি বিশেষজ্ঞ পিয়ালী সেনগুপ্ত। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে ছিলেন জেলা স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম দাস, খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ বিমান পণ্ডা, বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ প্রদীপ কয়াল, কাঁথির মহকুমাশাসক সরিৎ ভট্টাচার্য ও ভগবানপুর ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক শৈল শেখর সরকার প্রমুখ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রশান্ত অধিকারী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy