হাসপাতালের শান্তি বিঘ্নিত করার অভিযোগে ইরম শর্মিলা চানুর প্রেমিক ডেসমন্ড কুটিনহোকে আটক করল মণিপুর পুলিশ। ৫২ বছরের ব্রিটিশ নাগরিক কুটিনহোর সঙ্গে ২০০৯ সাল থেকে শর্মিলার যোগাযোগ রয়েছে। দুইজনের প্রেমের সম্পর্কের কথা শর্মিলা মেনে নিলেও, শর্মিলার আফস্পা বিরোধী আন্দোলনের সমর্থকরা ডেসমন্ডকে সহ্য করতে পারে না। ‘শর্মিলা কানবা লুপ’ ও শর্মিলার পরিবারের অভিমত, ডেসমন্ডের প্রকৃত পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, শর্মিলাকে প্ররোচিত করে আন্দোলন থেকে সরিয়ে নিতে চাইছেন ডেসমন্ড কুটিনহো।
সোমবার শর্মিলাকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় ডেসমন্ডও আদালতে হাজির হন। আদালত তাঁকে বড়দিনের সকালে, ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শর্মিলার সঙ্গে দেখা করার অনুমতিও দেয়। কিন্তু সে দিনই আদালত চত্বর থেকে বের হওয়ার সময় শর্মিলার সমর্থকদের হাতে প্রহৃত হন ডেসমন্ড। তবে তিনি শহর ছাড়েননি। আজ সকাল ১১টা থেকে দেখা করার সময় থাকলেও ডেসমন্ড ভোর সাড়ে ৫টায় জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে হাজির হন। কোলাপসিবল দরজা বন্ধ থাকায় তিনি দরজা ধরে ঝাঁকাতে থাকেন। হাসপাতালের কর্মীদের অভিযোগ, অভব্য ভাষা প্রয়োগ করে, চেঁচিয়ে, দরজা ঝাঁকিয়ে ভোরবেলা হাসপাতালের পরিস্থিতি তিনি অশান্ত করে তোলেন। শেষ পর্যন্ত তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। দিনভর ডেসমন্ডকে আটকে রেখে, তার বিবৃতি নথিভুক্ত করে পুলিশ। বিকেলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ফলে আদালত-নির্ধারিত সময়ে ডেসমন্ড শর্মিলার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। শর্মিলার মহিলা সমর্থকরাও হাসপাতালের সামনে পুলিশ পিকেটের বাইরে নিজস্ব পিকেট বসান। ডেসমন্ডকে ‘সন্দেহভাজন গুপ্তচর’ হিসেবে দাবি করে পুলিশে অভিযোগও দায়ের করেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy