দু’দশকের প্রতীক্ষার অবসান। আগামী শনিবার লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ লাইনে যাত্রিবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে।
সে দিন বেলা ১১টায় রেল প্রতিমন্ত্রী মনোজ সিংহ পতাকা নাড়িয়ে যাত্রা শুরুর সঙ্কেত দেবেন। সেকশনের প্রতিটি স্টেশনকে প্রথম ব্রডগেজ ট্রেন নির্বিঘ্নে এগিয়ে দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। রাত সাড়ে ৮টায় সেটি শিলচর স্টেশনে পৌঁছবে। পর দিন ডাবল ইঞ্জিন নিয়ে শিলচর থেকে রওনা হবে। সে জন্য শিলচরের স্টেশন সুপারকে কী কী করতে হবে, তাঁরও তালিকা পৌঁছেছে।
উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের জনসংযোগ অফিসার নৃপেন্দ্র ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘‘সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী শনিবার লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ লাইনে যাত্রিবাহী ট্রেনের সূচনা হচ্ছে। আপাতত গুয়াহাটি ও শিলচরের মধ্যে একজোড়া যাত্রী ট্রেন চলবে।’’
নৃপেন্দ্রবাবুর দাবি, প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। পরীক্ষামূলক ভাবে প্রথমে একজোড়া যাত্রী রেল চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিলচর স্টেশন সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্বোধন পর্বে শনিবার সকাল ১১টায় রওনা হলেও, রবিবার থেকে লামডিং ও শিলচর থেকে দু’টি ট্রেন ভোর ছ’টায় ছাড়বে।
গত ১৫ নভেম্বর উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের ওপেন লাইন শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট জিএম দয়ানন্দ ঝাঁ, ডিআরএম নীরজ কুমার, নির্মাণ শাখার সিইও অজিত পন্ডিত ও চিফ ইঞ্জিনিয়ার রবীন্দ্র রাম লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ লাইন পরিদর্শনে এসে শিলচরে বিভিন্ন সংগঠনের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। তখনই তাঁরা জানিয়েছিলেন— ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে লামডিং-শিলচরের মধ্যে ট্রেন চালানোর সম্ভাবনা রয়েছে। সে জন্য সব ধরনের চেষ্টা চলছে। দয়ানন্দবাবুর পরিদর্শনের দু’দিন পরই নৃপেন্দ্রবাবু আজ দিন-তারিখ জানিয়ে দিলেন।
শিলচর-সহ দক্ষিণ অসম জুড়ে ব্রডগেজে যাত্রিবাহী ট্রেনের দিনতারিখ ঘোষণার খবরে আনন্দ ছড়িয়েছে। বিভিন্ন সংস্থা প্রথম ট্রেনকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। ব্রডগেজের ইঞ্জিন আসার দিনের অভিজ্ঞতায় উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল
যাত্রী ট্রেনের উচ্ছ্বাস আন্দাজ করে নিয়েছে। জায়গায় জায়গায় ট্রেনচালককে গাড়ি থামিয়ে শুভেচ্ছা গ্রহণ করতে হবে, সেই হিসেব কষেই শিলচর থেকে ছাড়ার সময় ঠিক করা হয়েছে।
গত বছরের ১ অক্টোবর শিলচর-লামডিং রুটে মিটারগেজ উপড়ে ফেলার কাজ শুরু হয়েছিল। সেই থেকে দক্ষিণ অসম, ত্রিপুরা, মিজোরাম ও মণিপুর রেললাইনে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ফের রেল চলার খবরে আনন্দের ঢেউ সোশ্যাল নেটওয়ার্কেও আছড়ে পড়ছে।
শিলচরের স্টেশন সুপার মোহনলাল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সদর দফতর থেকে যে সব নির্দেশ এসেছে, সেই মতো আমরা তৈরি হচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy