Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Bribe

Zero Rupee Note: মূল্য শূন্য! ভারতেই প্রচলিত রয়েছে এই নোট, হাতে পেয়েছেন কখনও?

এক ঝলক দেখলে মনে হবে পঞ্চাশ টাকার নোট। টাকার নকশা, রং হুবহু মিলে যাবে।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৭:৪৩
Share: Save:
০১ ১০
এক ঝলক দেখলে মনে হবে পঞ্চাশ টাকার নোট। টাকার নকশা, রং হুবহু মিলে যাবে। কিন্তু বাস্তবে এই টাকার কোনও মূল্য নেই। তাই জিনিসপত্র কেনাবেচা করতে পারবেন না। কিন্তু এই নোট দিয়ে এক শ্রেণির মানুষকে ঠকাতে পারবেন সহজেই।

এক ঝলক দেখলে মনে হবে পঞ্চাশ টাকার নোট। টাকার নকশা, রং হুবহু মিলে যাবে। কিন্তু বাস্তবে এই টাকার কোনও মূল্য নেই। তাই জিনিসপত্র কেনাবেচা করতে পারবেন না। কিন্তু এই নোট দিয়ে এক শ্রেণির মানুষকে ঠকাতে পারবেন সহজেই।

০২ ১০
একে বলা হয় ‘জিরো রুপি নোট’ অর্থাৎ এমন একটি নোট, যা মূল্যহীন। ২০০৭ সালে ‘পঞ্চম পিলার’ নামে একটি অলাভজনক সংস্থা এই নোট বাজারে আনে। সরকারি বিভিন্ন স্তরে দুর্নীতি বা ঘুষ দেওয়া-নেওয়া বন্ধ করার জন্যই এমন অভূতপূর্ব পদক্ষেপ করে সংস্থাটি।

একে বলা হয় ‘জিরো রুপি নোট’ অর্থাৎ এমন একটি নোট, যা মূল্যহীন। ২০০৭ সালে ‘পঞ্চম পিলার’ নামে একটি অলাভজনক সংস্থা এই নোট বাজারে আনে। সরকারি বিভিন্ন স্তরে দুর্নীতি বা ঘুষ দেওয়া-নেওয়া বন্ধ করার জন্যই এমন অভূতপূর্ব পদক্ষেপ করে সংস্থাটি।

০৩ ১০
উদ্দেশ্য ছিল কোনও সরকারি অফিসার ঘুষ চাইলে তাঁকে এই টাকা দিয়ে লজ্জায় ফেলা যাবে। ঠকানোও যাবে। যাতে দ্বিতীয়বার এমন কাজ তিনি আর না করেন।

উদ্দেশ্য ছিল কোনও সরকারি অফিসার ঘুষ চাইলে তাঁকে এই টাকা দিয়ে লজ্জায় ফেলা যাবে। ঠকানোও যাবে। যাতে দ্বিতীয়বার এমন কাজ তিনি আর না করেন।

০৪ ১০
পঞ্চাশ টাকার নোটের উপরের দিকে যেখানে ‘রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া’ লেখা থাকে, সেই জায়গায় জিরো রুপি নোটে লেখা ‘এলিমিনেট করাপশন অ্যাট অল লেভেল’ অর্থাৎ সর্বস্তর থেকে দুর্নীতি দূর করুন।

পঞ্চাশ টাকার নোটের উপরের দিকে যেখানে ‘রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া’ লেখা থাকে, সেই জায়গায় জিরো রুপি নোটে লেখা ‘এলিমিনেট করাপশন অ্যাট অল লেভেল’ অর্থাৎ সর্বস্তর থেকে দুর্নীতি দূর করুন।

০৫ ১০
একই ভাবে আসল পঞ্চাশ টাকার নোটে নীচের দিকে যেখানে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের সইয়ের উপর ইংরাজি এবং হিন্দিতে লেখা থাকে ‘বাহককে আমি ৫০ টাকা দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ’, ঠিক সেই জায়গায় এই নোটে লেখা থাকে ‘কখনও ঘুষ দেব না এবং নেব না প্রতিজ্ঞা করছি।’

একই ভাবে আসল পঞ্চাশ টাকার নোটে নীচের দিকে যেখানে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের সইয়ের উপর ইংরাজি এবং হিন্দিতে লেখা থাকে ‘বাহককে আমি ৫০ টাকা দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ’, ঠিক সেই জায়গায় এই নোটে লেখা থাকে ‘কখনও ঘুষ দেব না এবং নেব না প্রতিজ্ঞা করছি।’

০৬ ১০
তবে যাতে আইনত কোনও ভুল না থাকে, তাই এই নোটে কোথাও ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক-এর উল্লেখ নেই।

তবে যাতে আইনত কোনও ভুল না থাকে, তাই এই নোটে কোথাও ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক-এর উল্লেখ নেই।

০৭ ১০
এই নোটের ভাবনা প্রথম মাথায় আসে সতীন্দ্রমোহন ভগবত নামে একজন পদার্থবিদ্যার শিক্ষকের। তিনি মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ। দৈনন্দিন জীবনের সর্বক্ষেত্রে যে পরিমাণ দুর্নীতি গ্রাস করেছে দেশবাসীকে, তা ভাবিয়ে তুলেছিল তাঁকে।

এই নোটের ভাবনা প্রথম মাথায় আসে সতীন্দ্রমোহন ভগবত নামে একজন পদার্থবিদ্যার শিক্ষকের। তিনি মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ। দৈনন্দিন জীবনের সর্বক্ষেত্রে যে পরিমাণ দুর্নীতি গ্রাস করেছে দেশবাসীকে, তা ভাবিয়ে তুলেছিল তাঁকে।

০৮ ১০
সেই ভাবনা থেকেই ২০০১ সালে ‘জিরো রুপি নোট’-এর কথা প্রথম বলেন তিনি। এর ছ’বছর পর ‘পঞ্চম পিলার’ নামে ওই সংস্থাটি সতীন্দ্রের ভাবনার বাস্তবায়ন করে। প্রথমে ২৫ হাজার নোট ছাপিয়েছিল তারা। চেন্নাই শহরে সেই নোট সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছে দিয়েছিল। এখনও পর্যন্ত অন্তত ২৫ লাখ ‘জিরো রুপি নোট’ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দিতে পেরেছে সংস্থাটি।

সেই ভাবনা থেকেই ২০০১ সালে ‘জিরো রুপি নোট’-এর কথা প্রথম বলেন তিনি। এর ছ’বছর পর ‘পঞ্চম পিলার’ নামে ওই সংস্থাটি সতীন্দ্রের ভাবনার বাস্তবায়ন করে। প্রথমে ২৫ হাজার নোট ছাপিয়েছিল তারা। চেন্নাই শহরে সেই নোট সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছে দিয়েছিল। এখনও পর্যন্ত অন্তত ২৫ লাখ ‘জিরো রুপি নোট’ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দিতে পেরেছে সংস্থাটি।

০৯ ১০
এই ভাবনা পঞ্চম পিলার থেকে আবার ধার নিয়েছে নেপাল, মেক্সিকো, ইয়েমেন, ঘানার মতো দেশও। এই সমস্ত দেশের নাগরিকদেরও নাকি দুর্নীতির ভারে মাথা ঝুঁকে গিয়েছে। মাথা তুলে বাঁচতে তারাও তাই এই প্রতিবাদের হাত ধরেছে।

এই ভাবনা পঞ্চম পিলার থেকে আবার ধার নিয়েছে নেপাল, মেক্সিকো, ইয়েমেন, ঘানার মতো দেশও। এই সমস্ত দেশের নাগরিকদেরও নাকি দুর্নীতির ভারে মাথা ঝুঁকে গিয়েছে। মাথা তুলে বাঁচতে তারাও তাই এই প্রতিবাদের হাত ধরেছে।

১০ ১০
এখনও এই নোটের ব্যবহার রয়েছে। রাস্তার ট্রাফিক সিগন্যালে কর্তব্যরত পুলিশ থেকে শুরু করে কোনও সরকারি অফিসার ঘুষ চাইলে এখনও অনেকেই জিরো রুপি নোট দিয়ে ঠকান এবং লজ্জায় ফেলেন তাঁদের। দুর্নীতি দূর করার যে প্রয়াস শুরু করেছিল ‘পঞ্চম পিলার’, তা ঠিক পথেই এগোচ্ছে বলে মনে করে সংস্থাটি। তবে সাধারণ মানুষ সচেতন না হলে যে কোনও ভাবেই দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে না, তাও মনে করিয়ে দিয়েছে তারা।

এখনও এই নোটের ব্যবহার রয়েছে। রাস্তার ট্রাফিক সিগন্যালে কর্তব্যরত পুলিশ থেকে শুরু করে কোনও সরকারি অফিসার ঘুষ চাইলে এখনও অনেকেই জিরো রুপি নোট দিয়ে ঠকান এবং লজ্জায় ফেলেন তাঁদের। দুর্নীতি দূর করার যে প্রয়াস শুরু করেছিল ‘পঞ্চম পিলার’, তা ঠিক পথেই এগোচ্ছে বলে মনে করে সংস্থাটি। তবে সাধারণ মানুষ সচেতন না হলে যে কোনও ভাবেই দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে না, তাও মনে করিয়ে দিয়েছে তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE