শ্রীনগরে পুলিশের টহল। ছবি: পিটিআই।
পুলিশের গাড়িতে পিষে কিশোরের মৃত্যু ঘিরে আজ জনতা-পুলিশ সংঘর্ষে উত্তাল হল শ্রীনগরের নওগাম এলাকা। নিষেধাজ্ঞার কবলে থাকা কাশ্মীরে নতুন বছরে এই প্রথম বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াল জনতা। তাতে এক মহিলা-সহ চার জন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আজ সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ নওগাম এলাকায় জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের একটি গাড়িতে পিষে মৃত্যু হয় তেহসিন নাজ়ির নামে বছর ষোলোর এক কিশোরের। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, পুলিশ ওই কিশোরের দেহ তাঁদের হাতে তুলে দিতে রাজি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হন বাসিন্দারা। ব্যারিকেড বসিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেন তাঁরা। তার পর সারা দিন ধরেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ চলে। তাতে এক মহিলা-সহ চার জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বছর বাষট্টির ব্যবসায়ী মহম্মদ ইউসুফও। তাঁর হাঁটুর উপরে কাঁদানে গ্যাসের শেল বিঁধে যায়।
পুলিশের বিবৃতি, ‘‘পুলিশের গাড়ির সঙ্গে অন্য একটি গাড়ির সংঘর্ষের ফলে দু’জন আহত হন। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তেহসিন নাজ়িরের মৃত্যু হয়েছে। দ্বিতীয়জনের অবস্থা স্থিতিশীল।’’ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গাড়িচালক গ্রেফতার হয়েছে।
তেহসিনের বাবা আহমেদ নাজ়ির, তাঁর স্ত্রী ও মায়ের কাছে অবশ্য তদন্তের মূল্য নেই। যে স্কুলে তেহসিন পড়ত সেই স্কুলেরই কর্মী আহমেদ। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমার চোখের মণিকে ওরা ছিনিয়ে নিল। দুর্ঘটনা হয়েছে শুনেছিলাম। সেখানে ভিড়ও হয়েছিল। আমি পাশ কাটিয়ে স্কুলে চলে গেলাম। পরে তেহসিনের স্কুল ব্যাগ থেকে পাওয়া নোটবুকে তার নাম দেখে এক জন আমাকে মোবাইলে ফোন করেন। ওর দেহও এখনও পাইনি।’’ আহমেদের এক আত্মীয়ার দাবি, তেহসিনের ‘গাড়িতে পিষে মারা’র পরে পুলিশ তাঁদের বাড়িঘরও ভাঙচুর করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy