নীতীশকে নিশানা করে জুতো ছুড়ল এক যুবক। এই ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক টানাপড়েন। জেডিইউ নেতৃত্ব এর পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।
আজ বখতিয়ারপুরে স্বাধীনতা সংগ্রামী শীলভদ্র যাচির জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছিলেন নীতীশ কুমার। সেই সময় প্রবেশ যাদব নামে এক যুবক মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে নিশানা করে জুতো ছোড়ে। জুতোটি অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত পৌঁছয়নি। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। নীতীশ কুমারের মদ-নিষেধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদেই সে এই কাণ্ড ঘটায় বলে পুলিশের দাবি। তবে ওই যুবকের মানসিক ভারসাম্য নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। গোটা ঘটনায় বিড়ম্বনায় পড়েছেন পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা।
গত কাল রাতে হাসপাতালে ঢুকে এক চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে অটরি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক কুন্তীদেবীর ছেলে রঞ্জিত যাদবের বিরুদ্ধে। জখম চিকিৎসক সতেন্দ্র কুমারকে গুরুতর অবস্থায় জয়প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। রঞ্জিতের বিরুদ্ধে জেডিইউ নেতা সুমরিত যাদবকে খুনের মামলা রয়েছে। উল্লেখ্য, রঞ্জিতের বাবা, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজেন্দ্র যাদব খুনের দায়ে জেলে রয়েছেন। হাসপাতালে ঢুকে রেজিস্ট্রার দেখতে চায় রঞ্জিত। তা আনতে দেরি হওয়ায় চিকিৎসক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
অন্য দিকে, পটনার বিক্রম বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস বিধায়ক সিদ্ধার্থের বিরুদ্ধে এক নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। তিনি বিবাহিত। অভিযোগ, আজ সকালে পটনার মসোড়ি এলাকার এক নাবালিকাকে নিয়ে চম্পট দিয়েছেন ওই বিধায়ক। স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মেয়েটির বাবা। ঘটনার পর থেকে ওই নাবালিকা, সিদ্ধার্থ, তাঁর সরকারি দেহরক্ষী এবং ব্যক্তিগত পাঁচ দেহরক্ষী নিখোঁজ বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। পটনা পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে প্রেম ঘটিত কারণেই ওই নাবালিকা নিখোঁজ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
পাশাপাশি, ট্রেনে এক দম্পতিকে হেনস্থা করার অভিযোগে অভিযুক্ত বিধায়ক সরফরাজ আলম এবং খুনে অভিযুক্ত স্বামীকে থানা থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ায় অভিযুক্ত রুপৌলের বিধায়ক বিমা ভারতীকে নিয়ে জেরবার জেডিইউ। দল থেকে সরফরাজকে সাসপেন্ড করেছে জেডিইউ। বিমা ভারতীর স্বামীকেও গ্রেফতার করে ফের জেলে পাঠানো হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে বিমাকে।
এই সব ঘটনা পরম্পরায় বিব্রত শাসক জোট, বিশেষ করে জেডিইউ। বিরোধীদের হাতে নতুন অস্ত্র তুলে দিয়েছে এই সব ঘটনা। বিজেপি মুখপাত্র বিনোদানন্দ ঝা বলেন, ‘‘অপরাধীদের মদত দেওয়া নীতীশ সরকারের নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’ জেডিইউ মুখপাত্র নীরজ কুমার অবশ্য এই অভিযোগ খারিজ করে বলেন, ‘‘বখতিয়ারপুরে জুতো ছোড়ার ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy