ফাইল চিত্র।
উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনের আগে নতুন করে জাতিগণনার দাবি এবং ওবিসি ভোটের রাজনীতি তুঙ্গে ওঠায় আজ কংগ্রেস বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করল। কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা এম বীরাপ্পা মইলির নেতৃত্বে এই কমিটি গঠন করেছেন সনিয়া গাঁধী। তাতে সলমন খুরশিদ, মোহন প্রকাশ, আরপিএন সিংহ, পি এল পুণিয়ার মতো উত্তরপ্রদেশের নেতাদের পাশাপাশি হরিয়ানার কুলদীপ বিষ্ণোই ও দলের আইনজীবী নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিও রয়েছেন। মনু সিঙ্ঘভি রাজ্যসভায় প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেন মোদী সরকার জাতিগণনা করতে ভয় পাচ্ছে!
উত্তরপ্রদেশে ওবিসি ভোট জিততে ডাক্তারি পড়াশোনায় ওবিসি সংরক্ষণ, রাজ্যের ওবিসি নেতাদের কেন্দ্রে মন্ত্রী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। তা দেখে পাল্টা কৌশলে এসপি-র অখিলেশ যাদব, বিএসপি-র মায়াবতী এবং কংগ্রেস জাতিগণনার দাবি তুলেছে। বিজেপির আশঙ্কা, জাতিগণনায় জনসংখ্যায় ওবিসিদের সংখ্যা ৫০ শতাংশের কাছাকাছি দেখা গেলে সেই অনুপাতেই সংরক্ষণের দাবি উঠবে। তাতে উচ্চবর্ণের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হতে পারে। এসপি-র আশা, এই সুযোগে যাদব ছাড়া অন্যান্য ওবিসি সম্প্রদায়ের ভোট নিজের দিকে টেনে আনতে পারলে বিজেপিকে টেক্কা দেওয়া যাবে।
কিন্তু আজ এসপি, বিএসসি ও কংগ্রেস নেতৃত্বকে কিছুটা দমিয়ে দিয়ে এবিপি নিউজ-সি ভোটারের জনমত সমীক্ষা জানিয়েছে, আসন কমলেও উত্তরপ্রদেশে ২০২২-এ ফের বিজেপি ক্ষমতায় ফিরতে পারে। সমীক্ষা অনুযায়ী, বিজেপি ২৫৯ থেকে ২৬৭টি আসন জিততে পারে। এসপি ১০৯ থেকে ১১৭টি, বিএসপি ১২ থেকে ১৬টি ও কংগ্রেস মাত্র ৩ থেকে ৭টি আসন জিততে পারে। যার অর্থ, ৪০৩ আসনের বিধানসভায় গত বারের তুলনায় প্রায় ৬০টি আসন কমলেও বিজেপিই দেশের বৃহত্তম রাজ্যে ফের সরকার গড়তে পারে।
এই ধরনের সমীক্ষার ফল সব সময় না মিললেও তাতে মানুষের মনোভাবের একটি প্রতিফলন পাওয়া যায়। কংগ্রেসের জন্য চিন্তা বাড়িয়ে সমীক্ষা জানিয়েছে, আগামী বছরের শুরুতে উত্তরাখণ্ড, মণিপুর, গোয়াতেও বিজেপিই ক্ষমতা দখলে রাখতে পারে। কংগ্রেস উত্তরাখণ্ড, মণিপুরে ক্ষমতায় ফেরার আশা করছে। তার থেকেও তাদের কাছে চিন্তার হল, এই সমীক্ষায় পঞ্জাবে কংগ্রেস ক্ষমতা হারাতে পারে বলে জানানো হয়েছে। অকালি দল ও বিজেপির জোট ভেঙে গিয়েছে। কিন্তু অরবিন্দ কেজরীবালের আম আদমি পার্টি পঞ্জাবে কংগ্রেসকে হারিয়ে ক্ষমতা দখল করতে পারে বলে সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy