ছবি: পিটিআই।
দেশ জুড়ে জাতীয় নাগরিক পঞ্জির (এনআরসি) আবহে উত্তরপ্রদেশে বাংলাদেশি-সহ বিদেশিদের চিহ্নিত করার নির্দেশ দিল যোগী আদিত্যনাথ সরকার। রাজ্য পুলিশের ডিজি ও পি সিংহ জেলার পুলিশ প্রধানদের লিখিত নির্দেশে জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিদেশিদের চিহ্নিত করে তাদের ফেরত পাঠানো হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে এমন পদক্ষেপ বলে দাবি ডিজি-র।
জেলা পুলিশের প্রধানদের কাছে পাঠানো ডিজি-র নির্দেশে বলা হয়েছে, প্রচুর বাংলাদেশি অবৈধ ভাবে রাজ্যে বাস করছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই ‘নিখোঁজ’। ডিজি বলেছেন, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা জোরদার করা প্রয়োজন। তাই রাজ্যে বসবাসকারী বাংলাদেশি ও বিদেশিদের চিহ্নিত করা জরুরি।’’ সংবাদমাধ্যমকে ডিজি জানান, এটা রুটিন নির্দেশ। গত বছরও এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তাঁর দাবি, ‘‘এই নির্দেশের সঙ্গে এনআরসি-র কোনও সম্পর্কে নেই।’’
জেলা পুলিশ প্রধানদের পাঠানো নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সর্বত্র চিরুনি তল্লাশি চালাতে হবে। রেল স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা, নতুন কলোনি, বস্তি, অস্থায়ী ঠিকানা, ভাড়াটে— বাংলাদেশি ও বিদেশিরা যেখানে রয়েছেন, সেই জায়গাগুলি চিহ্নিত করতে হবে। কাউকে সন্দেহ হলে পুলিশ তাঁকে প্রয়োজনীয় নথি দেখাতে বলবে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তা দেখাতে বাধ্য। ডিজি-র নির্দেশ, যে কোনও ব্যক্তির পরিচিতি ভাল করে পরীক্ষা করতে হবে ও পুরো প্রক্রিয়ার ভিডিয়ো রাখতে হবে। তাঁর কথায়, ‘‘কেউ যদি বলেন, তিনি অন্য জেলা বা রাজ্যে থাকেন, তা হলে তাঁর ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড, পাসপোর্টের মতো প্রয়োজনীয় নথি খতিয়ে দেখতে হবে।’’ নির্মাণ সংস্থা ও ঠিকাদারদের বলা হয়েছে, সব শ্রমিকের নাগরিকত্বের উপযুক্ত প্রমাণ সঙ্গে রাখতে। ডিজি জানান, অবৈধ ভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশি ও বিদেশিদের আঙুলের ছাপ নেওয়া হবে এবং তা পাঠাতে হবে স্টেট ফিঙ্গারপ্রিন্ট বুরোর কাছে। কোনও সরকারি আধিকারিকের সহায়তায় নথি তৈরি হয়েছে, এমন প্রমাণ মিললে সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলে জানানো হয় ওই নির্দেশিকায়।
ডিজি-র নির্দেশিকা নিয়ে অবশ্য মুখ খোলেননি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। অসমে এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর তাকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। যোগী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, প্রয়োজনে উত্তরপ্রদেশেও এনআরসি চালু হবে। পুলিশের ডিজি-র নির্দেশিকার পর প্রশ্ন উঠছে, কোন প্রক্রিয়ায় চিহ্নিত করা হবে, তা স্পষ্ট নয়। সব নাগরিকের তথ্য যাচাই হবে কি না, তা নিয়েও কিছু বলা হয়নি। শুধু সন্দেহের বশে কারও নথিপত্র পরীক্ষা করে দেখা কতটা যুক্তিসঙ্গত। কোনও রাজ্য সরকার অবৈধ বসবাসকারীকে কী ভাবে ফেরত (পুশব্যাক) পাঠাতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy