প্রতীকী ছবি।
করোনার আবহে দেশ জুড়ে ব্ল্যাক এবং হোয়াইট ফাঙ্গাসের সংক্রমণ বৃদ্ধিতে উদ্বেগ তো ছিলই। এ বার স্বাস্থ্যকর্তাদের চিন্তায় ফেলল ইয়েলো ফাঙ্গাস। সোমবার উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ শহরে ওই ফাঙ্গাসে আক্রান্ত এক রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।
উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন সূত্রে খবর, এই প্রথম দিল্লি সংলগ্ন গাজিয়াবাদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ইয়েলো ফাঙ্গাসের সংক্রমণ নিয়ে এক রোগীকে ভর্তি করানো হচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশের মতে, ব্ল্যাক বা হোয়াইট ফাঙ্গাসের থেকেই আরও ভয়াবহ হতে পারে ইয়েলো ফাঙ্গাস।
ইয়েলো ফাঙ্গাসের আক্রান্তের কী কী উপসর্গ দেখা দেয়? চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সাধারণত সংক্রমিতের ওজন কমে যাওয়া, ক্লান্তিভাব, খিদে না পাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা যায়। সংক্রমণ বাড়তে থাকলে রোগীর দেহে পূঁজ ফেটে যাওয়ার মতো উপসর্গও দেখা গিয়েছে। এ ছাড়া, ক্ষত থাকলে তা না সারা বা শুকোতেও সময় লাগে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। সেই সঙ্গে, চোখ বসে যাওয়ার মতো লক্ষণও দেখা দেয়। শেষমেশ সংক্রমিতের দেহে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে পচন ধরে বলে জানা গিয়েছে।
ইয়েলো ফাঙ্গাসের সংক্রমণ দেহের ভিতরে প্রভাব বিস্তার করে বলে চিকিৎসকেরা একে ব্ল্যাক বা হোয়াইট ফাঙ্গাসের তুলনায় ক্ষতিকর বলে দাবি করছেন। এই ফাঙ্গাসের উপসর্গ দেখা দিলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা শুরু করা উচিত বলে পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। চিকিৎসকদের মতে, স্বাস্থ্যবিধিতে অবহেলা করলে এই ফাঙ্গাসের সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। সেই সঙ্গে বাসি খাবার খাওয়া বা অত্যন্ত বেশি আর্দ্র পরিবেশে থাকলেও এতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়তে পারে।
প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়েছিলেন, দেশের ১৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এখনও পর্যন্ত মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত ৫ হাজার ৪২৪ জন। তাঁর কথায়, “৫,৪২৪ জন মিউকরমাইকোসিস রোগীর মধ্যে ৪,৪৪৬ জনের কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস রয়েছে। অন্য দিকে, এর ৫৫ শতাংশই ডায়াবিটিসে আক্রান্ত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy