দিল্লির যমুনা বাজার এলাকা জলমগ্ন। ছবি: পিটিআই।
দিল্লিতে ৪৫ বছরের রেকর্ড ছাপিয়ে গেল যমুনা নদীর জলস্তর। বুধবার নদীর জলস্তর বেড়ে হয় ২০৭.৫৫ মিটার। যা ১৯৭৮ সালের বন্যার সময় জলস্তরের রেকর্ডকে টপকে গিয়েছে। ওই সময় যমুনার জলস্তর বেড়ে হয়েছিল ২০৭.৪৯ মিটার। তবে এই জলস্তর আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে বন্যাপ্রবণ এলাকাগুলিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে দিল্লি পুলিশ।
যমুনার জলস্তর বাড়তে থাকায় নিচু এলাকাগুলি ছাপিয়ে শহরের ভিতরে জল ঢুকতে শুরু করেছে। ফলে শঙ্কার প্রহর গুনছেন দিল্লিবাসী। পরিস্থিতি ক্রমে খারাপ হওয়ায় জরুরি বৈঠক ডেকেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। রবিবার সকাল ১১টায় যমুনার জলস্তর ছিল ২০৩.১৪ মিটার। সোমবার বিকেল ৫টায় সেই জলস্তর বেড়ে হয় ২০৫.৪ মিটার। তার ১৮ ঘণ্টার মধ্যেই সেই জলস্তর বিপদসীমা ছাড়িয়ে যায়।
নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করায় শহরের ভিতরেও জল ঢুকতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। মনাস্ট্রি মার্কেট, কাশ্মীরি গেট, রিং রোডে বাসিন্দাদের ঘরে জল ঢুকতে শুরু করেছে। সেখানকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানোর কাজ চলছে। রিং রোডে বালির বস্তা ফেলে অস্থায়ী বাঁধ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। বাসিন্দাদের উদ্ধারের জন্য বড় বড় গাড়ি নিয়ে আসা হয়েছে।
দিল্লির জলমন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পরিস্থিতির মোকাবিলায় সরকার পুরোপুরি প্রস্তুত। তাঁর কথায়, “আমার গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।” দিল্লির আর এক মন্ত্রী আতিশি মারলেনা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, “পরিস্থিতি সামলাতে দিল্লি সরকার প্রস্তুত। যমুনার জলস্তর কতটা বাড়ছে, প্রতি মুহূর্তে তা নজর রাখা হচ্ছে। জল যাতে শহরের বিস্তীর্ণ এলাকাকে প্লাবিত করতে না পারে, তার জন্য জায়গায় জায়গায় অস্থায়ী বাঁধ বানানো হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy