ইয়াকুব মেমনের মেয়ে জুবেদা। বৃহস্পতিবার। ছবি: পিটিআই।
ফের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ ইয়াকুব মেমন। ১৯৯৩ সালে মুম্বই বিস্ফোরণে দোষী সাব্যস্ত মেমনের ফাঁসির দিন ঠিক হয়েছে ৩০ জুলাই। সেই সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশের আর্জি জানাল সে।
মেমন পুলিশের জালে ধরা পড়ে ’৯৪-এ। যদিও তার দাবি, বিস্ফোরণে অভিযুক্ত দাদা টাইগার মেমনকে ধরাতে সাহায্য করতেই সে পুলিশের কাছে যায়। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। সেই থেকে ২২ বছর সে কারাগারে। ২০০৭ সালে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে মুম্বইয়ের সন্ত্রাস দমন আদালত। পাল্টা আবেদন করেও লাভ হয়নি। ক্ষমাভিক্ষা ফিরিয়ে দেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ও। ইয়াকুবের অসুস্থতার জন্য ২০১৪ সালে তার মৃত্যুদণ্ডে স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু সে বারের কিউরেটিভ পিটিশনও গত মঙ্গলবার খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। যাবজ্জীন কারাদণ্ডের মেয়াদ ভোগ করার পরেও কেন তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হচ্ছে, আবেদনে সেই প্রশ্ন তোলে সে। একই সঙ্গে জানায়, ’৯৬ সাল থেকে স্ক্রিৎজোফ্রেনিয়ায় ভুগছে। কিন্তু কোনও যুক্তিই ধোপে টেকেনি। ২১ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট তার শাস্তি কমানোর আর্জি খারিজ করে। রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপালের কাছে ক্ষমাভিক্ষা চায় মেমন।
আজ সেই প্রসঙ্গ তুলেই ফের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে মেমন। তার বক্তব্য, রাজ্যপাল এখনও জবাব দেননি। তা ছাড়া সব বিচার প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি। সে ক্ষেত্রে কী ভাবে একটি নিম্ন আদালতের রায়ের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হচ্ছে তাকে?
তবে মেমন যতই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হোক না কেন, নাগপুর জেলে অবশ্য তার কোনও রেশ নেই। সূত্রের খবর, তারা নিয়মমাফিক ফাঁসির প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। স্বরাষ্ট্র দফতর ২৫৮১ পাতার ক্ষমাভিক্ষার আবেদন পাঠিয়ে দিয়েছে রাজ্যপালের কাছে। পরে তার একটি কপি পাঠানো হবে কেন্দ্রের কাছেও।
এরই মধ্যে আজ পরিবারের সঙ্গে খানিক সময় কাটিয়েছে মেমন। নাগপুর জেলে তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন স্ত্রী রাহিন ও ২১ বছরের মেয়ে জুবেদা। সকালের ট্রেনে মুম্বই নাগপুরে আসেন তাঁরা। ন’টা নাগাদ পৌঁছন জেলে। ঘণ্টা দুয়েক সময় কাটানোর পর ১১টা নাগাদ বেরিয়ে যান তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy