প্রীতি ও দীপাংশু। ছবি: টুইটার
এক মহিলা পুলিশ অফিসারকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠল আর এক পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে। পরে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার আত্মঘাতী হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনার পিছনে প্রণয়ঘটিত কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
পূর্ব দিল্লির প্রতাপগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়া থানার সাব-ইনস্পেক্টর ছিলেন ২৬ বছরের প্রীতি আলাওয়াট। হরিয়ানার সোনিপতের বাসিন্দা প্রীতি রোহিণী এলাকায় ভাড়া থাকতেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সেই সময় রোহিণী ইস্ট মেট্রো স্টেশনের কাছে আর এক সাব-ইনস্পেক্টর দীপাংশু রাঠি তাঁকে তিনটি গুলি করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় প্রীতির। ২০১৮-র ব্যাচে পুলিশ অ্যাকাডেমিতে সহপাঠী ছিলেন প্রীতি এবং দীপাংশু। পুলিশ জানিয়েছে, প্রীতিকে খুনের পরে সেই পিস্তল থেকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। এসিপি (রোহিণী) এসডি মিশ্র বলেন, ‘‘শুক্রবার রাত তিনটে নাগাদ সোনিপতে নিজের গাড়ির মধ্যে দীপাংশুর দেহ মেলে। গাড়িটি ভিতর থেকে ‘লক’ করা ছিল। জ্বলছিল গাড়ির হেডলাইট দু’টি ।’’
রোহিণী এলাকায় গুলি চলার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। প্রীতির দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়। মিশ্র জানান, ঘটনাস্থল থেকে তিনটি গুলির খোল মিলেছে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, মেট্রো স্টেশন থেকে বেরোতেই খুব কাছ থেকে তাঁর মাথায় তিনটি গুলি করে দীপাংশু। এক পুলিশকর্তা বলেন, এর পরে দীপাংশুর মোবাইল ট্র্যাক করে জানা যায় তিনি রয়েছেন সোনিপতে। সেখানে পৌঁছে দীপাংশুর দেহ মেলে। ডিসিপি (উত্তর-পূর্ব) বেদপ্রকাশ সূর্য বলেন, দীপাংশু ভজনপুরা থানায় কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কেজরীবালই ফিরছেন দিল্লিতে, ইঙ্গিত বুথ-ফেরত সমীক্ষায়
কিন্তু কেন এই খুন, আহত্মহত্যা? পুলিশের দাবি, সহপাঠী প্রীতির প্রেমে পড়েছিলেন দীপাংশু। কিন্তু তাতে সায় ছিল না প্রীতির। দীপাংশুর বিয়ের প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন প্রীতি। সেই প্রত্যাখ্যান সহ্য করতে পারেননি দীপাংশু। পুলিশ জানিয়েছে, দু’জনের বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সম্পর্কে আরও তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, প্রীতি একটি ধর্ষণ মামলার তদন্ত করছিলেন। সেই কারণে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত তাঁকে হুমকি দিচ্ছিল। তদন্তে এই দিকটিই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ভোটের আগের রাতে রাজধানী জুড়ে ছিল কড়া নিরাপত্তা। তার মধ্যেও রাজধানীতে পুলিশের হাতেই পুলিশ খুনের ঘটনা ঘটে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy