প্রতীকী ছবি।
সরকারি চাকরি পেতে গেলে এক জন মহিলাকে তাঁর শরীর দিতে হয়! এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিতর্কে কর্নাটকের কংগ্রেস নেতা প্রিয়ঙ্ক খাড়্গে।
নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে বিজেপিশাসিত কর্নাটকের সরকারকে বিঁধতে গিয়ে এ ভাষাতেই আক্রমণ করেছেন সে রাজ্যের কংগ্রেস মুখপাত্র। রাজ্যের একাধিক পদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে প্রিয়ঙ্ক বলেছেন, ‘‘সব পদ বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যদি কোনও তরুণী সরকারি চাকরি পেতে চান, তবে তাঁকে কারও সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে হবে। আর যুবকদের ঘুষ দিতে হবে। এমন তো দেখা গিয়েছে, সরকারি চাকরির জন্য তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে এক তরুণীকে বলেছেন এক মন্ত্রী। এই কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার পর ওই মন্ত্রী ইস্তফা দিয়েছিলেন।’’
প্রিয়ঙ্কের আরও দাবি, ‘‘আমার কাছে যা তথ্য রয়েছে, তাতে জানতে পেরেছি যে, ৬০০ পদের জন্য চুক্তি করা হয়েছে। অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র পদের জন্য ওরা ৫০ লক্ষ টাকা করে নিয়েছে। জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র পদের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা নিয়েছে। সম্ভবত ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।’’
কর্নাটকে লক্ষ লক্ষ তরুণ-তরুণীর ভবিষ্যৎ নিয়ে বিজেপি সরকার ছিনিমিনি খেলছে বলে তোপ দেগেছেন মল্লিকার্জুন খাড়্গের পুত্র। এই দুর্নীতির অভিযোগে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) তৈরি করে তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা।
কংগ্রেস নেতাকে বিঁধে পাল্টা সরব হয়েছে বিজেপি। প্রিয়ঙ্ককে নিশানা করে কর্নাটক বিজেপির তরফে বলা হয়েছে, ‘‘এ ধরনের মন্তব্য করার আগে নিজের বাড়ির দিকে তাকাচ্ছেন না প্রিয়ঙ্ক। এটা কংগ্রেস সরকারের আমলেই হয়েছিল। জয়মালা ঘুষ কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়েছিল। আমরা সকলেই জানি, কে এই কাণ্ডে জড়িত...। দেশের অনেক মহিলা কঠোর পরিশ্রম করে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি পান। প্রিয়ঙ্কের এই ধরনের মন্তব্য মহিলার প্রতি অপমানজনক। অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy