প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাড়ির সামনে জ্বালানি ও রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মহিলা কংগ্রেসের বিক্ষোভ। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি এক বিক্ষোভকারীর। বৃহস্পতিবার। পিটিআই
আচমকাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনের কাছে স্লোগান উঠল ‘মোদী তেরি তানাশাহি নেহি চলেগি, নেহি চলেগি’, ‘মোদী-শাহ হোঁশ মে আও’। বিক্ষোভকারীরা সকলেই মহিলা। হাতে তাঁদের কালো বেলুন। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ছুটে যাওয়ায় রাস্তাতেই বসে পড়লেন মহিলারা। ২৪ জন মহিলাকে সঙ্গে সঙ্গে আটক করে পুলিশের বাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হল।
বুধবারই দিল্লিতে রাহুল গাঁধী কংগ্রেসের মঞ্চ থেকে রান্নার গ্যাস, পেট্রল, ডিজেলের দাম নিয়ে মোদী সরকারকে নিশানা করেছিলেন। আজ প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির কাছে মহিলা কংগ্রেসের নেত্রী, কর্মীরা জ্বালানির দাম ও জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আচমকা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ বা ‘ফ্ল্যাশ প্রোটেস্ট’ করলেন।
কংগ্রেস যে কৃষি আইন, মূল্যবৃদ্ধির মতো বিষয়ে রাস্তায় নামতে চাইছে, তা বুঝিয়ে আজ কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী জাতীয় প্রশ্নে লাগাতার প্রতিবাদ-বিক্ষোভের পরিকল্পনা করতে একটি কমিটি গঠন করেছেন। মধ্যপ্রদেশের নেতা রাজ্যসভার সাংসদ দিগ্বিজয় সিংহের নেতৃত্বে ওই কমিটিতে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাও রয়েছেন। বুধবারই রাহুল বলেছিলেন, মানুষের রাগ বাড়ছে। কিন্তু কংগ্রেসের পক্ষে কোভিডের জন্য পুরোপুরি রাস্তায় নামা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আগামী দিনে যে তার পরিকল্পনা রয়েছে, আজ কমিটি গঠন করে সেই বার্তা দিয়েছেন সনিয়া। কংগ্রেসের জি-২৩ গোষ্ঠীর বিক্ষুব্ধ নেতারা নেতৃত্বের সক্রিয়তা দাবি করেছিলেন। কমিটি গঠন তাঁদের প্রতিও বার্তা বলে কংগ্রেস নেতাদের মত।
দিগ্বিজয় মধ্যপ্রদেশে লাগাতার বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যুক্ত থাকেন। এক সময়ে রাহুল গাঁধীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত দিগ্বিজয়ের এই কমিটির প্রধানের মাধ্যমে জাতীয় রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন ঘটল বলেও কংগ্রেস শিবির মনে করছে। কমিটিতে উত্তমকুমার রেড্ডি, বি কে হরিপ্রসাদ, রিপুণ বরা, উদিত রাজ, রাগিনী নায়েকের মতো বিভিন্ন রাজ্যের নেতানেত্রীকেও রাখা হয়েছে। কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, বিরোধী দলগুলি মিলে ইতিমধ্যেই মোদী সরকারের নীতির বিরুদ্ধে সেপ্টেম্বরের শেষে দেশ জুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছে। কংগ্রেসও আলাদা ভাবে বিক্ষোভে রাস্তায় নামবে। আজ প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়েছেন মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী নেত্তা ডি’সুজা। দিল্লি মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী অমৃতা ধবন বলেন, “মোদী সরকার মানুষকে সুরাহা দেওয়ার বদলে জ্বালানির দাম বাড়িয়েই চলেছে। আমরা সে জন্যই প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির কাছে গিয়েছিলাম।” বিক্ষোভকারীদের আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হলেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy