এখন ওই রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলে খবর। —প্রতীকী চিত্র।
হাসপাতাল থেকে মৃত্যুর খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিল পরিবার। শুরু হয়েছিল সৎকারের আয়োজন। বাঁশ কেটে তৈরি হয়েছে শবের খাট। গ্রামবাসীরা জড়ো হয়েছেন দাহের কাজে সাহায্য করবেন বলে। তার মধ্যেই উঠে বসলেন ‘মড়া’। আবার তাঁকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটলেন আত্মীয়রা। উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়ার ঘটনা।
দুরারোগ্য অসুখ রয়েছে দেওরিয়ার এক মধ্যবয়স্কা বাসিন্দার। হঠাৎ ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েন তনি। অসুস্থ মাকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন ছেলে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, অ্যাম্বুল্যান্সে যেতে যেতে ছেলে টিঙ্কু খেয়াল করেন, মায়ের নিশ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গিয়েছে। হাত-পা কেমন ঠান্ডা। তবু হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন মাকে।
টিঙ্কু বাড়িতে ফোন করে মায়ের মৃত্যুসংবাদ দেন। খবর পেয়ে পরিবারের অন্যেরা ভেঙে পড়েছিলেন। তার মধ্যেই শুরু হয়েছিল সৎকারের প্রস্তুতি। গ্রামবাসীরাও খবর পেয়ে জড়ো হন। বাঁশের দোলা তৈরি হয়। সৎকারের সব রকম প্রস্তুতি যখন সারা, তখন আবার টিঙ্কুর ফোন এল বাড়িতে। সেই খবরে বিস্মিত হয়ে গেলেন সবাই। টিঙ্কু কাঁদতে কাঁদতে জানান, তাঁর মা বেঁচে আছেন। হঠাৎই তিনি উঠে বসেছেন!
চৌরিচৌরা তহশিলের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে মাকে নিয়ে গিয়েছিলেন ছেলে। বেশ কিছু ক্ষণ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা জানান, রোগী বেঁচে আছেন। এমনকি, কিছু ক্ষণ পরে রোগীর শারীরিক অবস্থাও স্থিতিশীল হয়। পরে চিকিৎসকেরা তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়েও দেন।
কিছু ক্ষণ আগেই গৃহকর্ত্রীর বিয়োগের খবরে ভেঙে পড়েছিলেন পরিবারের লোকজন। তিনি সুস্থ আছেন, হাসপাতাল থেকে এই খবর পেয়ে হাসি ফোটে সবার মুখে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy