Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
child

হাসপাতালের তিনতলার জানলা থেকে ফেলে দিলেন মা, তিন মাসের শিশুর মৃত্যু গুজরাতে

সিসিটিভি ফুটেজে পুলিশ দেখেছে, শিশুটিকে নিয়ে হাসপাতালের তিন তলার গ্যালারির দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন তাঁর মা। ফিরে আসছেন ফাঁকা হাতে। পুলিশের জেরার মুখে পরে নিজের অপরাধ স্বীকার করেন তিনি।

গত দু’সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল শিশুটি।

গত দু’সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল শিশুটি। প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
আমদাবাদ শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৩ ১৯:৫৬
Share: Save:

হাসপাতালের বিছানায় শুয়েছিল তিন মাসের কন্যা। তাকে সেখান থেকে তুলে এনে হাসপাতালেরই তিন তলা থেকে মাটিতে ছুড়ে ফেলে দিলেন মা। গুজরাতের আমদাবাদে ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার। ঘটনাস্থলেই মারা গিয়েছে অসুস্থ শিশুটি।

সোমবারের এই ঘটনায় ওই শিশু কন্যার মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি প্রথমে জানিয়েছিলেন, তাঁর সন্তান হঠাৎই হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু পরে সিসিটিভি ফুটেজে পুলিশ দেখতে পায়, শিশুটিকে নিয়ে হাসপাতালের তিনতলার গ্যালারির দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন তাঁর মা। কিছু ক্ষণ পরে ফিরে আসছেন ফাঁকা হাতে। এর পরই পুলিশের জেরার মুখে নিজের অপরাধ স্বীকার করেন তিনি।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম ফারজানাবানু মালেক। তাঁর বয়স ২৩ বছর। ৩ মাস আগেই শিশুটির জন্ম দেন তিনি। তবে তার পর থেকেই অসুখে ভুগছিল শিশুটি। আমদাবাদের ওই হাসপাতালে গত দু’সপ্তাহ ধরে চিকিৎসা চলছিল তার। পুলিশকে শিশুটির মা জানিয়েছেন, ৩ বছরের কন্যার যন্ত্রণা সহ্য হচ্ছিল না তাঁর। তাই তাকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন।

পুলিশ জানতে পেরেছে জন্মের পর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশুটি। তার ক্ষুদ্রান্ত্রের কিছু অংশ পাকস্থলি ঠেলে বেরিয়ে আসছিল ক্রমশ। আমদাবাদের সরকারি হাসপতালে চিকিৎসার আগে বরোদার একটি হাসপাতালে ২৪ দিন চিকিৎসাধীন ছিল শিশুটি। পুলিশকে অবশ্য ওই শিশুটির বাবা আসিফ জানিয়েছেন, বরোদার চিকিৎসক তাঁকে বলেছিলেন, বিষাক্ত জল খাওয়ার কারণে এমন হয়ে থাকতে পারে।

৩ মাসের শিশুটির নাম আমরিন বানু। আমদাবাদ হাসপাতাল চত্বরে রবিবার তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন হাসপাতাল কর্মীরা। এর পরেই খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।

অন্য বিষয়গুলি:

child Death Mother
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy