ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার রাতে কাকচিং থানার পালেল মামাংলেইকেই এলাকায়। প্রতীকী ছবি।
পুলিশের ওয়্যারলেস অপারেটরের গুলিতে ৩৬ বছর বয়সি এক মহিলার মৃত্যুর ঘটনায় মণিপুরের পালেল, কাকচিং প্রভৃতি এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ক্ষিপ্ত জনতা থানা জ্বালিয়ে দিয়েছে। ওয়্যারলেস অপারেটর খঙখম বীরজিতের কঠোর শাস্তি এবং নিহত মৈরাংথাম জেমির নিকটাত্মীয়কে ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবিতে তাঁরা ধর্নায় বসেন। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ ক্ষতিপূরণ নিয়ে মুখ খোলেননি। তবে জানিয়েছেন, বীরজিতকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তদন্ত চলছে। আইন অনুযায়ী তার শাস্তি হবে।
ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার রাতে কাকচিং থানার পালেল মামাংলেইকেই এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারুবি নামে এক জনের দোকানে জিনিস কিনছিলেন মৈরাংথাম জেমি। সে সময় তারুবি ও বীরজিতের মধ্যে ঝগড়া বাধে। বীরজিত পিস্তল বার করে তারুবির দিকে তাক করে। সেটিই জেমির শরীরে বিঁধে। জেমিকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তারেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষুব্ধ জনতা তারুবির দোকান তছনছ করে পালেলি থানায় গিয়ে হানা দেয়। ভাঙচুর করে থানায় আগুন ধরিয়ে দেয়। কাগজপত্র, আসবাবের সঙ্গে একটি গাড়িও জ্বলে যায়। দু’জন পুলিশকর্মী জখম হন। পরে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী গিয়ে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে। এ নিয়ে দুই দিন ধরে ক্ষোভে ফুঁসছেন পালেল এলাকার মানুষ। জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি গঠন করে তাঁরা ধর্নায় বসেন, বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন। জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির আহ্বায়ক এইচ রমেন খোমান বলেন, ওয়্যারলেস অপারেটর হয়ে পিস্তল কোথায় পেল বীরজিত, তার তদন্তও জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy