ফারমিন উদ্দিনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন তাঁর আত্মীয়রা। প্রতীকী ছবি।
স্বামী-স্ত্রীর কলহ চলছিল। একটা সময় তা পারস্পরিক হাতাহাতিতেও পৌঁছয়। একে অপরকে আঘাত করার উন্মত্ততার মধ্যেই হঠাৎ স্বামীর বুকে একটি ধারালো কাঁচি বসিয়ে দেন স্ত্রী। অতর্কিতে ঘটা সেই ঘটনার মাসুল এখন গুনছেন স্ত্রী।
অসমের কাচার জেলার শিলচর টাউনের ঘটনা। বুধবার ভোরে সেখানকার মেহেরপুর এলাকার বাসিন্দা ফারমিন উদ্দিনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন তাঁর আত্মীয়রা। সঙ্গে সঙ্গেই নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। তবে গুরুতর জখম ফারমিনকে শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি। ফারমিনের স্ত্রী, এই ঘটনায় অভিযুক্ত তরুণী মাম্পি বেগম এর পর নিজেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। আপাতত তাকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করছে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জেনেছে, রাতে ফারমিন এবং মাম্পির মধ্যে তুমুল অশান্তি শুরু হয়, যা একটা সময় গড়ায় হাতাহাতিতেও। দু’জনেই দু’জনকে আঘাত করছিলেন। এর মধ্য়েই হাতের সামনে থাকা একটি কাঁচি মাম্পি আমূল বসিয়ে ফারমিনের শরীরে। ফারমিনের আত্মীয়রা জানিয়েছেন, ভোরবেলায় মাম্পির চিৎকার শুনে যখন তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন তখন রক্তে ভেসে যাচ্ছিল ঘর। মেঝেতে পড়েছিলেন ফারমিন। পাশে দাঁড়িয়ে কাঁদছিলেন মাম্পি।
এই নিয়ে গত তিন দিনে তৃতীয় বার অসমে স্ত্রীর হাতে স্বামীর খুন হওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে এল। মঙ্গলবারই অসমের কলাইগাঁও গ্রামে প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে খুন করেছিলেন। তার আগেই সোমবার আরও একটি একই ধরনের ঘটনার কথা জানা যায় অসমে। স্বামী এবং শ্বশুরকে খুন করে তাদের দেহ টুকরো করে খাদে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। গত জুলাই-অগস্ট মাসে ঘটা সেই ঘটনাটি সোমবারই প্রকাশ্যে আসে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy