Advertisement
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
Crime

স্বামী, শাশুড়িকে খুন! দেহ টুকরো করে ফ্রিজে রাখলেন অসমের মহিলা!

অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর প্রেমিককেও। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কারণে খুন কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

photo of assam murder

স্বামী এবং শাশুড়িকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে মহিলাকে। ছবি সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৬:৩৪
Share: Save:

শ্রদ্ধা ওয়ালকর, নিক্কি যাদবের হত্যাকাণ্ডে শিউরে উঠেছে দেশ। এই আবহে আরও এক খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে এল। খুনের ধরনও অনেকটা একই রকম। স্বামী এবং শাশুড়িকে খুনের পর তাঁদের দেহ টুকরো করে ফ্রিজে রেখেছিলেন। এই অভিযোগে গ্রেফতার করা হল অসমের এক মহিলাকে। স্বামী এবং শাশুড়ির টুকরো দেহাংশ পরে মেঘালয়ের জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রবিবার যা উদ্ধার করেছে পুলিশ। গুয়াহাটিতে এই হত্যাকাণ্ডের কথা সোমবার জানিয়েছে পুলিশ।

ধৃত মহিলার নাম বন্দনা কলিতা। তাঁর সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে ধনজিৎ ডেকা নামে এক যুবককে। তদন্তকারীদের দাবি, ধনজিতের সঙ্গে বন্দনার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। সেই কারণেই খুন কি না খতিয়ে দেখছে পুলিশ। খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে অরূপ দাস নামে বন্দনার এক বন্ধুকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গুয়াহাটির পুলিশ কমিশনার দিগন্ত বোরা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, অমরেন্দ্র দে এবং তাঁর মা শঙ্করী দেকে গত ৭ মাস আগে খুন করা হয়েছিল। খুনের পর তাঁদের দেহ টুকরো করে পলিথিনে ভরে প্রথমে ফ্রিজে রেখেছিলেন বন্দনা। তার পর সেই দেহাংশগুলি লোপাটের জন্য মেঘালয়ের জঙ্গলে ফেলে দেন তিনি। প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই মনে করছে পুলিশ। গত বছর দিল্লিতে শ্রদ্ধা ওয়ালকরের খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। শ্রদ্ধাকে খুনের পর তাঁর দেহও টুকরো করে প্রথমে ফ্রিজে রেখেছিলেন প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। তার পর তা বিভিন্ন এলাকায় ফেলে দেন। চলতি মাসে দিল্লিতে নিক্কি যাদব নামে আরও এক তরুণীকে খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে, যা এই মুহূর্তে চর্চায় রয়েছে। নিক্কিকেও খুনের পর তাঁর দেহ ফ্রিজে রেখেছিলেন তাঁর সঙ্গী সাহিল। গুয়াহাটিতে স্বামী এবং শাশুড়িকে খুনের কায়দাও খানিকটা তেমনই।

পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের পর স্বামী এবং শাশুড়ির নামে নিজেই নুনমাটি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করেছিলেন বন্দনা। কিন্তু সেই তদন্তে কিছুই পাওয়া যায়নি। এর পর অমরেন্দ্রের তুতো ভাই আরও একটি নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুনরায় এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বন্দনাকে আটক করে পুলিশ। রবিবার তল্লাশি চালিয়ে দেহের কিছু টুকরো উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর পরই বন্দনা এবং ওই ২ যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। অমরেন্দ্র এবং তাঁর মায়ের বাকি দেহাংশগুলি উদ্ধার করতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

অন্য বিষয়গুলি:

Crime police national news
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy