দিল্লির সেই স্কুলে তল্লাশি পুলিশের। বিজেপি কর্মী বর্ষা (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর এক মহিলা বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার হল দিল্লির একটি স্কুলের ভিতর থেকে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের সন্দেহ, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে ওই মহিলাকে।
পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার নাম বর্ষা। নারেলার স্বতন্ত্রনগরের বাসিন্দা। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তার পর তাঁর বাবা বিজয় কুমার পুলিশে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। বর্ষার বাবা জানিয়েছেন, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি স্কুটি নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তাঁর কন্যা। তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছিল ব্যবসায়িক সঙ্গী সোহন লালের সঙ্গে।
বর্ষার বাবা আরও জানিয়েছেন, সোহনের সঙ্গে বাচ্চাদের একটি স্কুল খুলেছিলেন বর্ষা। সেটি সম্প্রতি চালু করার কথাও চলছিল। ২৪ ফেব্রুয়ারি কন্যাকে ফোন করেন তিনি। কিন্তু তাঁর পরিবর্তে অন্য এক ব্যক্তি সেই ফোন ধরেন। ওই ব্যক্তির পরিচয় জানতে চান বর্ষার বাবা। তখন তিনি জানান, হরিয়ানার সোনিপত থেকে বলছেন। ওই ব্যক্তি আরও দাবি করেন, এক ব্যক্তি রেললাইনে আত্মহত্যার চেষ্টা করছেন।
বর্ষার বাবার আরও দাবি, ওই ব্যক্তি তাঁকে ভিডিয়ো কল করেন। তখন তিনি সেখানে দেখতে পান সোহনলালকে। এর পর তিনি পুলিশের দ্বারস্থা হন। নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তার পর গোটা ঘটনাটি পুলিশকে জানান। বর্ষার বাবার অভিযোগ পেয়ে দিল্লি পুলিশ সোনিপত পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। কিন্তু সেখানে সোহনলালকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। দিল্লি পুলিশ বর্ষার স্কুলেও তল্লাশি চালায়। কিন্তু সেখানে কোনও কিছু পায়নি তারা। তবে স্কুলের অফিসঘর তালা দেওয়া থাকায় সেখানে তারা ঢুকতে পারেনি।
বুধবার বর্ষার নতুন স্কুলে যান তাঁর বাবা। যে বাড়িতে স্কুল খোলা হয়েছিল, সেই বাড়ির মালিককে অফিসঘরের তালা খুলতে বলেন। সেই ঘর খুলতেই একটি টেবিলের নীচে বর্ষার দেহ দেখতে পান তিনি। তাঁর গলায় ওড়না জড়ানো ছিল। ২৫ ফেব্রুয়ারি সোনিপতে রেললাইন থেকে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, ওই দেহ সোহনের। এখন প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কি বর্ষাকে খুনের পর আত্মঘাতী হয়েছেন সোহনলাল? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy