সেই তরুণী। ছবি: সংগৃহীত।
মাস ছয়েক আগে পুণেতে থাকা প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন বছর উনিশের এক তরুণী। এই ঘটনার পর তরুণীর মা এবং দাদা ক্ষোভে ফুঁসছিলেন। তরুণী পালিয়ে গিয়ে ঔরাঙ্গাবাদের একটি গ্রামে স্বামীর সঙ্গে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেই ঘটনার পর ছ’মাস কেটে যাওয়ায় তরুণী ভেবেছিলেন যে, এ বার হয়তো তাঁর পরিবারের রাগ পড়ে গিয়েছে। তাই ফের নিজের গ্রাম লাডগাঁওতে এসে থাকতে শুরু করেন।
মেয়ে ফিরে এসেছে খবর পেয়েছিলেন তরুণীর মা। সেই খবর পেয়েই তিনি মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে যান। তাঁর সঙ্গে হাসিঠাট্টাও করে আসেন। মা, দাদা তাঁর উপর রেগে নেই এ ধারণাটা এ বার বিশ্বাসে বদলে যায়। কিন্তু তাঁরা যে আড়ালে কী চক্রান্ত চালাচ্ছিলেন সেটা ঘুণাক্ষরেও আঁচ করতে পারেননি ওই তরুণী।
ঠিক এক সপ্তাহ পরে দ্বিতীয় বারের জন্য মেয়ের বাড়িতে হাজির হন মা। এ বার সঙ্গে এসেছিলেন তরুণীর দাদাও। দাদাকে দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন তরুণী। এর পর এক কথা, দু’কথা থেকে কথা আরও বাড়তে শুরু করে। তরুণীর দাদারও মাথাগরম হতে শুরু করে। বোনের ঘটনা নিয়ে মনের মধ্যে যে ক্ষোভ ছিল সেটা বেরিয়ে এল হঠাৎ। পাশের ঘরেই শুয়েছিলেন তরুণীর স্বামী। তিনি অনেক ক্ষণ ধরেই কথা কাটাকাটির বিষয়টি টের পেয়েছিলেন। এর পর হঠাৎই আর্তনাদের আওয়াজ পেয়ে বেরিয়ে দেখেন স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাচ্ছেন তাঁর দাদা। আর তাঁর পা ধরে আছেন মা। এই ঘটনা দেখে তরুণীর স্বামী বাধা দিতে গেলে তাঁকেও খুন করার চেষ্টা করেন তরুণীর দাদা। তরুণীর স্বামী পালিয়ে কোনও মতে প্রাণ বাঁচান।
এর পরই তরুণীকে খুন করে তাঁর মাথা কেটে নিয়ে নিজেদের বাড়ির বারান্দায় ঝুলিয়ে রাখেন তাঁর দাদা। বিষয়টি স্থানীয়দের চোখে পড়তেই তাঁরা পুলিশে খবর দেন। তড়িঘড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তরুণীর দেহ উদ্ধার করে। গ্রেফতার করা হয় তরুণীর মা এবং দাদাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy