গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
লকডাউনে বন্ধ মদের দোকান। কিন্তু লকডাউন ওঠা পর্যন্ত সবুর করতে পারছিলেন না। তাই অ্যালকোহল মেশানো স্যানিটাইজারই গলায় ঢেলেছিলেন। তাতে বেঘোরে প্রাণ গেল ন’জনের।
দেশের সর্বত্র আনলক পর্ব শুরু হয়ে গেলেও, করোনার প্রকোপ ঠেকাতে অন্ধ্রপ্রদেশে গত ১৮ জুলাই থেকে ফের ১৪ দিনের লকডাউন শুরু হয়। তার মধ্যেই সেখানে কুরিছেদু এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
রাজ্য পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউনের জেরে কুরিছেদু ও সংলগ্ন এলাকায় সমস্ত দোকানপাট বন্ধ ছিল। বন্ধ ছিল মদের দোকানও। তাই স্যানিটাইজার দিয়ে কাজ চালাতে যান ওই ন’জন। তাতেই বিপত্তি ঘটে।
আরও পড়ুন: সোনার কেল্লার শহরে বিধায়কদের পাঠালেন গহলৌত
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন, ২৫ বছর বয়সি এ শ্রীনু, ৩৭ বছরের বি তিরুপাতাইয়া, ৬০ বছরের জি রামিরেড্ডি, ২৯ বছরের কে রামনাইয়া, ৬৫ বছরের রামনাইয়া, ৬৫ বছরের রাজিরেড্ডি, ৪০ বছরের বাবু, ৪৫ বছরের চার্লস এবং ৪৭ বছরের অগাস্টাইন।
নিহতদের মধ্যে তিন জন পেশায় ভিক্ষাজীবী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে দু’জন আবার স্থানীয় এক মন্দির চত্বরে ভিক্ষা করতেন। বৃহস্পতিবার রাতে একসঙ্গে বসে স্যানিটাইজার পান করার পর সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু হয় এক জনের। চিকিৎসাধীন থাকাকালীন পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় আরও এক জনের।
নিহতদের মধ্যে এক জন মদের সঙ্গে স্যানিটাইজার মিশিয়ে খেয়েছিলেন। বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনিও। হাসপাতালে নিয়ে যেতে যেতে রাস্তাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। শুক্রবার সকালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আরও ছ’জনকে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁদের।
আরও পড়ুন: ভুটানেও এলাকা দাবি চিনের, ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছে বেজিং, বলল আমেরিকা
কুরিছেদুর পুলিশ সুপার সিদ্ধার্থ কৌশল গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। স্যানিটাইজার পান করে আর কোনও হাসপাতালে কেউ রয়েছেন কি না, তার খোঁজ চলছে। যে দোকান থেকে স্যানিটাইজার কিনে পান করেছিলেন নিহতরা, ওই দোকানের সমস্ত স্যানিটাইজার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেগুলি পরীক্ষা করে দেখতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিদ্ধার্থ কৌশল।
স্যানিটাইজারের সঙ্গে অন্য কোনও রাসায়নিক মিশিয়ে নিহতরা পান করেছিলেন কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy