পালার নব নির্বাচিক বিধায়ক এনসিপি-র মানি সি কপ্পন।—নিজস্ব চিত্র।
কয়েক মাস আগে লোকসভা ভোটে পিছিয়ে পড়ার ব্যবধান ছিল প্রায় ৩৩ হাজার ভোট। রাজ্য জুড়ে সেই ভরাডুবির ধাক্কা কাটিয়ে কেরলের পালা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জয়ী হল সিপিএমের নেতৃত্বাধীন এলডিএফ। ১৯৬৫ সালে পালা বিধানসভা কেন্দ্র তৈরি হওয়ার পরে এই প্রথম খ্রিস্টান অধ্যুষিত ওই এলাকায় জয় পেল বামেরা। অক্টোবর মাসেই কেরলের আরও পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন।
উপনির্বাচনের যে ফল শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে, তার মধ্যে ত্রিপুরার বাধারঘাট ও উত্তরপ্রদেশের হামিরপুর বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে বিজেপি। ছত্তীসগঢ়ের দন্তেওয়াড়ায় জয় পেয়েছে কংগ্রেস। ত্রিপুরার বাধারঘাট আসন বিজেপি দখলে রাখলেও সেখানে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির পাওয়া ৫৮% ভোট এ বার কমে হয়েছে ৪৪.৫৮%। সিপিএমের ভোট ২০% থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৩.১২%। বিজেপির ভোট প্রায় অর্ধেক হয়েছে কেরলের পালাতেও। দলের পলিটব্যুরো সদস্য এবং এ রাজ্যে সিপিএমের সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের কথায়, ‘‘মানুষ ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছেন। এটাই লক্ষ্যণীয়।’’
কেরলের ২০টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১৯টিই জিতেছিল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ। মাত্র একটি আসন পেয়েছিল বামেরা। উপনির্বাচনে পালা-বদলের পরে মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন বলেছেন, ‘‘মানুষের থেকে আমরা একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছি বলে যে প্রচার চলছিল, সেটা ঠিক নয় বোঝা গেল।’’ পালায় এলডিএফের প্রার্থী ছিলেন এনসিপি-র মানি সি কপ্পন। অক্টোবরের পাঁচটি কেন্দ্রের উপনির্বাচনে অবশ্য প্রার্থী থাকছে সিপিএমেরই।
কেরল কংগ্রেস (এম)-এর কে এম মানিকে আমৃত্যু নির্বাচিত করেছেন পালার মানুষ। তাঁর মৃত্যুর পরে কেরল কংগ্রেস (এম)-এ মানির ছেলে জোস কে মানি এবং আর এক নেতা পি জে জোসেফের বিরোধের জেরেই আসনটি হারাতে হয়েছে বলে মনে করছে সনিয়া গাঁধীর কংগ্রেস। অন্তর্দ্বন্দ্ব না মিটলে কেরল কংগ্রেসকে ইউডিএফ থেকে বহিষ্কারের দাবিও উঠেছে। কেরল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মুল্লাপল্লি রামচন্দ্রন অবশ্য মনে করছেন, ২০২১ সালে ক্ষমতায় আসবেন তাঁরাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy