ফাইল চিত্র।
আরএসএসের সঙ্গে বিজেপির সমন্বয়ের দায়িত্বে কি এ বার অন্য কাউকে দেখা যাবে? আগামী শুক্রবার থেকে মধ্যপ্রদেশের চিত্রকূটে আরএসএসের বার্ষিক অখিল ভারতীয় প্রান্ত প্রচারক বৈঠক বসছে। সূত্রের খবর, এত দিন আরএসএসের সহ-সরকার্যবাহ কৃষ্ণ গোপাল সঙ্ঘের সঙ্গে বিজেপির সমন্বয়ের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। সামনেই উত্তরপ্রদেশের ভোট। আরএসএস ইতিমধ্যেই যোগী সরকারের বিরুদ্ধে অসন্তোষ দূর করতে উত্তরপ্রদেশে সক্রিয়। রামমন্দিরের জমি কেনাবেচায় কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠার পরেও কৃষ্ণ গোপালকে অযোধ্যায় পাঠানো হয়। আগামী দিনেও তাঁর হাতেই সমন্বয়ের দায়িত্ব থাকবে, না কি অন্য কাউকে দেওয়া হবে, চিত্রকূটের বৈঠকে সেই চিত্র স্পষ্ট হতে পারে বলে আরএসএস নেতারা মনে করছেন। আরও বেশ কিছু দায়িত্ব রদবদল বা নতুন দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত দত্তাত্রেয় হোসাবালে আরএসএসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ সরকার্যবাহর গদিত বসার পরে এমনিতেই মনে করা হচ্ছিল, মোদী সরকার, বিজেপি ও আরএসএসের মধ্যে সমন্বয় আরও মসৃণ হবে। রাম মাধব এত দিন আরএসএস থেকে বিজেপিতে গিয়ে কাজ করছিলেন। তিনি আবার সঙ্ঘে ফিরে এসেছেন। আর এক সরকার্যবাহ মনমোহন বৈদ্যকে দিল্লির বদলে ভোপাল থেকে কাজ করতে বলা হয়েছে। বৈদ্যর সঙ্গে মোদীর বনিবনার অভাব নিয়ে আরএসএসের অন্দরমহলে বরাবরই জল্পনা ছিল।
এই মসৃণ সম্পর্কের মধ্যেও পশ্চিমবঙ্গের ভোটের ফলের পরে আরএসএসের মুখপত্রে বলা হয়েছে, বাইরে থেকে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা বাংলায় গিয়ে বাঙালিয়ানায় এঁটে উঠতে পারেননি। তৃণমূল থেকে বাছ-বিচার না করে লোক ভাঙিয়ে আনার নীতিকেও বিজেপির বিপর্যয়ের জন্য দায়ী করা হয়েছে। বাংলায় ধাক্কা খাওয়ার পরে বিজেপি-আরএসএস স্বাভাবিক ভাবেই উত্তরপ্রদেশের জন্য নিখুঁত রণকৌশল তৈরি করতে চাইছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy