জয়পুরে পুলওয়ামায় নিহত জওয়ানদের স্ত্রীদের বিক্ষোভ। ছবি— পিটিআই।
পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় মৃত সেনা জওয়ানদের স্ত্রীদের নিয়ে রাজস্থানে উত্তাপ ক্রমেই বাড়ছে। এ বার এই প্রসঙ্গে মুখোমুখি ল়ড়াইয়ে নেমে পড়েছে সে রাজ্যের ক্ষমতাসীন কংগ্রেস এবং বিরোধী বিজেপি। ২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় মৃত জওয়ানদের স্ত্রীরা চাকরির দাবিতে প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু করেছেন। সেই আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছে বিরোধী বিজেপি। তা নিয়েই শনিবার ধুন্ধুমার কাণ্ড চলল মরু শহর জয়পুরে।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকেই চাকরি এবং অন্যান্য দাবিদাওয়া নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন পুলওয়ামায় মৃত জওয়ানদের স্ত্রীরা। শুক্রবার সেই বিক্ষোভস্থলে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন বিজেপি সাংসদ কিরোরীলাল মিনা। তাঁকে পুলিশ আটক করে। শনিবার বিক্ষোভস্থলে হাজির হন বহু বিজেপি কর্মী, সমর্থক। কংগ্রেস সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপি নেতারা। ক্রমশ বিক্ষোভ হিংসাত্মক চেহারা নেয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু হয়। পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। জয়পুরের বিস্তীর্ণ অংশে যানচলাচল থমকে যায়। এর মধ্যেই বিজেপি নেতারা ঘোষণা করেন, তাঁরা পুলওয়ামায় নিহত জওয়ানদের স্ত্রীদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের বাসভবন অভিযানে নামছেন। তাতে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে। পুলিশ বিজেপি নেতাদের আটক করে নিয়ে যায়।
সেনায় কাজ করতে করতে মৃত্যু হলে সেই চাকরি পাওয়ার কথা মৃতের পুত্র, কন্যার। কিন্তু পুলওয়ামায় মৃত জওয়ানদের স্ত্রীরা দাবি করছেন, সেই চাকরি যেন শুধু পুত্র, কন্যার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে। মৃত জওয়ানদের যে কোনও আত্মীয়কে চাকরি দেওয়ার সংস্থান তৈরির দাবিতেই তাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। বিজেপি তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
এ দিকে শনিবারই সেনায় কাজ করতে করতে মৃত জওয়ানদের স্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী গহলৌত। সাক্ষাৎ সেরে বেরিয়ে এসে তাঁরা বলেন, ‘‘আমরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। কারণ, যে দাবি তোলা হচ্ছে তা ভুল। যাঁরা সত্যিই নায়ক ছিলেন, আমরা তাঁদের পাশে আছি। দাবিদাওয়া যেন তাঁদের জন্য অথবা তাঁদের সন্তানদের জন্য হয়। যুদ্ধক্ষেত্রে বাড়ির লোকটির মৃত্যু হলে যেন তাঁর শ্যালকের জন্য চাকরির দাবি না করা হয়।’’ প্রসঙ্গত, গহলৌত এখনও পুলওয়ামায় মৃত জওয়ানদের স্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy