পাইপলাইন পরীক্ষা করতে গিয়ে পাওয়া গেল মহিলার খণ্ডবিখণ্ড দেহ। ছবি: সংগৃহীত।
অনেক দিন ধরেই পানীয় জলের পাইপলাইন দিয়ে ঘোলা এবং গন্ধযুক্ত জল পাচ্ছিলেন বাসিন্দারা। বাধ্য হয়েই সেই জল শহরের ৪ হাজার মানুষ চার দিন ধরে সেই জল পান করেছিলেন। তার পরই হঠাৎ জল সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে আরও সমস্যায় পড়েন বাসিন্দারা।
জল সরবারহ বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং নোংরা জল সরবরাহ করা হচ্ছে কেন, এই অভিযোগ তুলে পুরসভায় অভিযোগ জানান বহু বাসিন্দা। পুরসভাও ধন্দে পড়ে যায়। কারণ কোনও দিন জল সরবরাহ নিয়ে কোনও অভিযোগ আসেনি। হঠাৎ করে ভুরি ভুরি অভিযোগ জমা পড়ায় সমস্যা খুঁজে বার করতে উদ্যোগী হয় পুরসভা।
জলের পাইপলাইন পরীক্ষা করার জন্য জায়গায় জায়গায় পুরকর্মীদের পাঠানো হয়। কিন্তু এক জায়গায় পুরকর্মীরা দেখেন জল লিক করছে। সেখানে পাইপলাইন খোঁড়াখুড়ির কাজ শুরু করেন পুরকর্মীরা। সোমবার মেরামতির কাজ করার সময় পাইপলাইন খুঁড়তেই চমকে ওঠেন পুরকর্মীরা। তাঁরা দেখেন, এক মহিলার টুকরো করা দেহ পাইপলাইনে আটকে রয়েছে। ধড় থেকে মুণ্ড বিচ্ছিন্ন। দু’টি হাত এবং কোমর থেকে পা পর্যন্ত টুকরো মেলে প্রথমে।
পাইপলাইনে ভিতরে মহিলার টুকরো করা দেহ মেলার খবর চাউর হতেই শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু মহিলার শরীরের বাকি কাটা অংশ কোথায়, তা নিয়ে ঘুম ছুটেছিল পুরকর্মীদের। সোমবার সারা দিন খুঁজেও দেহের বাকি অংশ এবং মাথা মেলেনি। মঙ্গলবার আবার পাইপলাইন খতিয়ে দেখেন পুরকর্মীরা। তখন তাঁরা অন্য একটি এলাকায় মহিলার মাথা এবং দেহের বাকি অংশ খুঁজে পান। পুরো দেহ গলেপচে গিয়েছিল। ওই দেহ পাইপলাইনের ভিতরে থাকা অবস্থাতেই জল সরবরাহ করা হচ্ছিল। আর সেই জল বেশ কয়েক দিন ধরে পান করেছেন বাসিন্দারা। পাইপলাইন থেকে দেহ উদ্ধার হওয়ায় সকলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তা হলে ওই গলাপচা দেহের জন্যই জলে গন্ধ পাচ্ছিলেন বাসিন্দারা? যদিও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি পুরসভা।
ঘটনাটি গুজরাতের পাটনের সিদ্ধাপুর শহরের। কিন্তু পাইপলাইনের ভিতরে পাওয়া মহিলা কে? এই প্রশ্নও ঘুরপাক খেতে শুরু করে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে শহরেরই এক এলাকায় এক তরুণীর নিখোঁজ ডায়েরি হয়েছিল এক সপ্তাহ আগে। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, নিখোঁজ হওয়া মহিলার নাম লাভিনা হরওয়ানি। তাঁর রেশমা জানিয়েছেন, গত ৭ মে থেকে নিখোঁজ ছিলেন তাঁর দিদি। পাইপলাইন থেকে যে দেহ উদ্ধার হয়েছে সেটি লাভিনার, এমনটাই জানিয়েছেন রেশমা। কিন্তু তাঁকে কে মারল, কী ভাবেই বা ওই পাইপলাইনে গেল তা নিয়ে রহস্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy