‘অনুগ্রহ’ এর পরবর্তী বাসিন্দার নাম নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে কন্নড় রাজনীতিতে। ছবি: সংগৃহীত।
পোশাকি নাম ‘অনুগ্রহ’। আদতে দক্ষিণ ভারতের সমৃদ্ধতম রাজ্যের ক্ষমতার কেন্দ্র। বেঙ্গালুরুর কুমারকুরুপা রোডে অবস্থিত এই বাড়ি কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি ঠিকানা। যার পরবর্তী বাসিন্দার নাম নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে কন্নড় রাজনীতিতে।
২২৪ আসনের কর্নাটক বিধানসভায় ১৩৬টিতে জিতে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেয়েছে কংগ্রেস। কিন্তু দলের অন্দরের খবর সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে এবং রাহুল গান্ধীর প্রধান মাথাব্যথা এখন ‘অনুগ্রহের’ পরবর্তী বাসিন্দা নির্বাচন। লড়াই মূলত দু’জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ— প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিদায়ী বিরোধী দলনেতা সিদ্দারামাইয়া এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার। প্রথম জন জননেতা। কর্নাটকের নেতা-বিধায়কদের বড় অংশ পাশে থাকলেও দিল্লিতে এআইসিসির ক্ষমতার অলিন্দে তেমন প্রভাবশালী নন। দ্বিতীয় জন ‘চাণক্য’। সাংগঠনিক শক্তির পাশাপাশি রয়েছে গান্ধী পরিবারের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠতা’।
গত ভোটে সিদ্দারামাইয়ার ছেলে অতীন্দ্র জিতেছিলেন পুরনো মাইসুরু অঞ্চলের বরুণা বিধানসভা কেন্দ্রে। ওবিসি জনগোষ্ঠীর নেতা সিদ্দারামাইয়া ভোক্কালিগাদের গড় চামুণ্ডেশ্বরীতে হেরে কোনও রকমে বাদামি কেন্দ্রে জিতে মুখরক্ষা করেছিলেন। এ বার চেয়েছিলেন ছেলেকে বরুণা ছেড়ে দিয়ে নিজে কোলারে লড়বেন। কিন্তু নির্দেশ আসে, তাঁকেই লড়তে হবে বরুণাতে। সেই লড়াইয়ে জিতেছেন তিনি। অন্য দিকে, শিবকুমার নিজের পুরনো কেন্দ্র বেঙ্গালুরু গ্রামীণ এলাকার কনকপুরায় অনায়াসেই হারিয়েছেন প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি প্রার্থী আর অশোককে।
এই পরিস্থিতিতে রবিবার বেঙ্গালুরুতে নবনির্বাচিত কংগ্রেস বিধায়কদের বৈঠক ডাকা হয়েছে। কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর, সেখানে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন হবে না। কংগ্রেসের ঐতিহ্য মেনেই নেতা নির্বাচনের গুরুদায়িত্ব সঁপে দেওয়া হবে হাইকমান্ডের হাতে। ওই সূত্রের মতে, শেষ পর্যন্ত কার পাশে কত বিধায়ক রয়েছেন, সেটাই মুখ্যমন্ত্রী বাছার সময়ে বিচার্য হলে এগিয়ে থাকবেন সিদ্দারামাইয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy