Advertisement
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
WhatsApp Snooping

সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে তদন্ত হোক, ফোনে আড়ি পাতা নিয়ে কোমর বাঁধছে বিরোধীরা

আগামী ১৮ নভেম্বর থেকে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে। সেখানে এই বিষয়টি নিয়ে বিরোধীরা সরকারের জবাব চাইতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৯ ১২:২০
Share: Save:

হোয়াটসঅ্যাপে আড়ি পাতার বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপের দাবি জানাতে চলেছে কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলো। তারা চাইছে সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে বিষয়টি তদন্ত করা হোক। এ ব্যাপারে তারা রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হতে পারে বলে সূত্রের খবর। ফোনে আড়ি পাতা নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই জলঘোলা হচ্ছে দেশ জুড়ে। রাজনীতিও বেশ সরগরম।

আগামী ১৮ নভেম্বর থেকে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে। সেখানে এই বিষয়টি নিয়ে বিরোধীরা সরকারের জবাব চাইতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সোমবারই এ নিয়ে এক প্রস্থ আলোচনা হয় বিরোধী শিবিরের নেতাদের মধ্যে। ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ। তিনি জানান, এ ব্যাপারে বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে ফের আলোচনা হবে। তার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে।

কয়েক দিন আগে হোয়াটসঅ্যাপ দাবি করে, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন চারটি মহাদেশের এমন অন্তত ১ হাজার ৪০০ জন নজরদারির শিকার হয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছেন বেশ কয়েক জন সাংবাদিক, দলিত আন্দোলনের নেতা, মানবাধিকার কর্মী ও রাজনৈতিক নেতা। অভিযোগের আঙুল ওঠে ইজরায়েলি সংস্থা এনএসও-র দিকে। হোয়াটসঅ্যাপ জানায়, ‘পেগাসাস’ স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর তথ্য হাতানোর চেষ্টা করেছে এনএসও। বিষয়টি সামনে আসতেই ভারত সরকার হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষের কাছে এর ব্যাখ্যা চায়। শুধু তাই নয়, ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা রক্ষা করতে কী পদক্ষেপ করেছেন হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ সে বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়।

আরও পড়ুন: ঘরে-বাইরে প্রবল চাপের মুখে আপাতত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে সই করল না ভারত

আরও পড়ুন: হাওয়ার গতি বাড়াতেই কমল দূষণ রাজধানীতে

সোমবার সংক্ষিপ্ত এক বিবৃতি দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ জানায়, ভারতের ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা রক্ষা করার সব রকম চেষ্টা করছে তারা। ইজরায়েলি সংস্থা এনএসও-র বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ।

বিষয়টি সামনে আসার পর বিরোধী দলগুলো এ ব্যাপারে মোদী সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। দু’দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, তাঁর ফোনেও আড়ি পাতা হয়েছিল। তার পর একে একে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা এবং এনসিপি নেতা প্রফুল্ল পটেলও একই অভিযোগ তোলেন। সোমবারই সুপ্রিম কোর্টে ফোনে আড়ি পাতার মামলার এক প্রস্থ শুনানি হয়। এ ব্যাপারে কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় বিচারপতি অরুণ মিশ্রের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্ট বলে, “এ ভাবে ফোনে আড়ি পাতা হচ্ছে কেন? দেশের মানুষের গোপনতা বলে আর কিছু রইল না? প্রতি দিন কিছু না কিছু ঘটছেই। এ দেশে হচ্ছেটা কী?” অন্য দিকে, এ বিষয়টি নিয়ে ওই দিনই ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপের বিরুদ্ধে তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেন সমাজকর্মী কে এন গোবিন্দচার্য। ফলে বিষয়টি নিয়ে সরকার ও হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষের আরও চাপ বাড়ল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অন্য বিষয়গুলি:

WhatsApp Snooping WhatsApp Hacking হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাকিং
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy