ছবি: সংগৃহীত।
কেন্দ্র আজ দিল্লি হাইকোর্টকে জানাল, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলির গ্রাহক ও ভারতীয়দের মধ্যে বৈষম্য করছে হোয়াটসঅ্যাপ। ইউরোপের দেশে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর কোনও তথ্য ফেসবুকের অন্য কোনও সংস্থা পাবে না। কিন্তু ভারতীয়দের ক্ষেত্রে ফেসবুকের অন্যান্য সংস্থাকে তথ্য দেওয়াটা বাধ্যতামূলক ভাবে মেনে নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে।
চৈতন্য রোহিল্লার করা জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে হাজির হয়ে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল চেতন শর্মা আজ এই বৈষম্যের কথা তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে জানান, হোয়াটসঅ্যাপ একতরফা নতুন শর্তাবলি মানতে বাধ্য করছে ভারতীয়দের, এটা সম্পর্কে সরকার চিন্তিত। শুধু তা-ই নয় সরকার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। তিনি আরও জানান, ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রক গত সপ্তাহে হোয়াটসঅ্যাপের গ্লোবাল সিইও উইল ক্যাথকার্টকে চিঠি দিয়ে বলেছে, তাঁরা যেন অন্যান্য দেশ ও ভারতীয় গ্রাহকদের মধ্যে কোনও বৈষম্য না-করে।
এই মামলায় হোয়াটসঅ্যাপের হয়ে লড়ছেন কপিল সিব্বল। তিনি জানান, হোয়াটসঅ্যাপ সরকারের চিঠি পেয়েছে। তারা জবাব দেবে। হাইকোর্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন স্থির করেছে ১ মার্চ।
গত ১৮ তারিখের মতো আজও শুনানির শুরুতে বিচারপতি সঞ্জীব সচদেব মন্তব্য করেন, এই অ্যাপ ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক নয়। নিজের ডিভাইসে তা ডাউনলোড না-করলেই কোনও সমস্যা থাকে না। আবেদনকারী কেন হোয়াটস্অ্যাপের নীতিকে চ্যালেঞ্জ করছেন? তা ছাড়া, ব্যক্তি পরিসরের তথ্য সুরক্ষা বিল বর্তমানে সংসদের বিবেচনাধীন রয়েছে। এই আবেদনের বিষয়গুলি সরকার যখন বিবেচনা করছে তখন কেন এই আবেদন? আবেদনকারীর আইনজীবী যুক্তি দেন, হোয়াটসঅ্যাপের নতুন নীতি ভারতীয় সংবিধানের পরিপন্থী। সংবিধানে দেওয়া বক্তিপরিসরের গোপনীয়তার অধিকারকে লঙ্ঘন করছে সংস্থাটি। বিষয়টি তাই জনস্বার্থের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy