মুখ্যমন্ত্রী মনোনয়নের পালা শেষ হতেই তিন রাজ্যের তিন রাজনীতিকের ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা শুরু হল বিজেপির অন্দরমহলে। যাঁরা তিন জনেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। দলকে জিতিয়েও নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদের নির্দেশে কুর্সি ফিরে পেতে ব্যর্থ।
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে থেকে শিবরাজ সিংহ চৌহান পঞ্চম বার দলকে ক্ষমতায় এনেও ভোপালের কুর্সি থেকে সরে গিয়েছেন। তেমনই রাজস্থান এবং ছত্তীসগঢ়ে বিজেপির জয়ের অন্যতম কারিগর দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী—বসুন্ধরা রাজে এবং রমন সিংহের কাছেও অধরা থেকে গিয়েছে জয়পুর এবং রায়পুরের মসনদ। এঁদের মধ্যে রমনকে ছত্তীসগঢ় বিধানসভার স্পিকার পদ দেওয়ার ঘোষণা করেছে বিজেপি হাইকমান্ড। বাকি দু’জন তা-ও পাননি।
আরও পড়ুন:
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন, মোদী-শাহদের ‘সুনজরে’ না থাকায় আগামী দিনে শিবরাজ-বসুন্ধরাদের কার্যত ‘বাণপ্রস্থে’ পাঠানো হবে। যেমনটা অতীতে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিংহ বা হালফিলে কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পার ক্ষেত্রে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তীসগঢ়ের প্রাক্তন তিন মুখ্যমন্ত্রীর ‘রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ’ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন:
সংবাদমাধ্যম ‘আজতক’ আয়োজিত আলোচনাসভায় বুধবার নড্ডা বলেন, ‘‘তিন জন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীই আমাদের দলের সিনিয়র নেতা। ভবিষ্যতে দলে তাঁদের অবস্থানের উপযুক্ত ভূমিকা পালন করতে দেওয়া হবে।’’ তবে সেই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব কী, সে বিষয়ে বিশদে কিছু বলতে চাননি নড্ডা। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির অন্দরে জল্পনা, আগামী লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করে শিবরাজ, বসুন্ধরা, রমনদের জাতীয় রাজনীতিতে আনতে পারে বিজেপি হাইকমান্ড।