পুলিশ ধর্না তুলে দেওয়ার পর রাজঘাট থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। ছবি: পিটিআই।
দিল্লিতে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিস্থল রাজঘাটে ধর্না দিতে গিয়ে জুতো হারালেন পশ্চিমবঙ্গের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি জুতো খুলে ধর্নাস্থলে ঢুকেছিলেন। সেখান থেকে বেরিয়ে দেখেন, জুতো যেখানে খুলেছেন, সেখানে নেই। কোথাও জুতো খুঁজে পাননি সুজিত।
সংবাদমাধ্যমের সামনে খালি পায়ে দাঁড়িয়ে জুতো খোয়ানোর কথা জানান সুজিত। বলেন, ‘‘আমি জুতো খুলে ভিতরে গিয়েছিলাম। এখন দেখছি জুতোটা মিসিং। তবে জুতো হারালেও আমাদের আন্দোলন চলবে।’’ পুলিশের বিরুদ্ধে সুজিতের আরও অভিযোগ, ‘‘পুলিশ আমার পায়ে বুট দিয়ে চেপে দিয়েছে।’’ পরে তাঁকে খালি পায়েই রাজঘাট থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। এ ছাড়া, রাজঘাটে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন নিজের মোবাইল ফোন খুইয়েছেন বলে অভিযোগ।
উল্লেখ্য, কলকাতার বড় দুর্গাপুজোগুলির মধ্যে অন্যতম শ্রীভূমি। পুজোর সময় প্রতি বছর থিকথিকে ভিড় হয় সেখানে। শ্রীভূমির ঠাকুর দেখতে গিয়ে জুতো হারিয়ে ফেলার নজিরও বিরল নয়। এ বার সেই শ্রীভূমির প্রধান উদ্যোক্তা দিল্লিতে দাঁড়িয়ে একই অভিযোগ করলেন।
১০০ দিনের কাজ করেও যাঁরা টাকা পাননি, সেই বঞ্চিতদের নিয়ে দিল্লি গিয়েছে তৃণমূল। নেতৃত্বে রয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার গান্ধীজয়ন্তীর দিন রাজঘাটে তাঁদের কর্মসূচি ছিল। বিকেল ৩টে নাগাদ গান্ধীর সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা জানিয়ে কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগে ধর্নায় বসে তৃণমূল। অভিষেক ছাড়াও ছিলেন তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক এবং সাংসদেরা। প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে রাজঘাটে বসেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীন দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে রাজঘাটে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
ধর্না কিছু ক্ষণ চলার পর দিল্লি পুলিশ বিক্ষোভকারীদের রাজঘাট থেকে তুলে দেয়। মাইকের মাধ্যমে পুলিশ তাঁদের অনুরোধ করে, গান্ধীজয়ন্তীতে অনেকেই গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে আসছেন। তাঁদের রাজঘাটে ঢোকার সুযোগ করে দেওয়া হোক। সুষ্ঠু ভাবে রাজঘাট চত্বর ফাঁকা করে দেওয়ার জন্য তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের অনুরোধ করে পুলিশ। তৃণমূলের অভিযোগ, লাঠি উঁচিয়ে ধাক্কাধাক্কি করে তাঁদের উঠে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। এমনকি, রাজঘাটে সাংবাদিক সম্মেলনও শেষ করতে পারেননি অভিষেক। পুলিশের নিরন্তর হুইসেলের শব্দের মাঝে তিনি কথা বলছিলেন। পরে বৈঠক বন্ধ রেখেই রাজঘাট থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy